জানা গিয়েছে, এবার ভিনরাজ্যেও হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে নতুন কোম্পানির হদিস মিলেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, 'ক্লাসিক কটেজ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড' নামে ওই সংস্থাটি খোলা হয়েছিল কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুর শিবনগরে। সিবিআই সূত্রে খবর, নথি অনুসারে ২০১৩ সালে ১ মার্চ এই কোম্পানির ডিরেক্টরের পদে নিযুক্ত হন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু কিছু বছর পরেই সেই সংস্থা বন্ধ হয়ে যায়।
advertisement
এখান থেকেই শুরু হয়েছে প্রশ্ন। তবে কি, কালো টাকা সাদা করার জন্যে এই কোম্পানি খোলা হয়েছিল? এর পিছনেও কি ছিল গোপালের হাত? চিটফান্ড থেকে নিয়োগ দুর্নীতি, সব জায়গার কালো টাকা সাদা করার জন্যই কি এই ধরনের সংস্থাগুলো খোলা হত?
এর আগে হৈমন্তীর নামে 'এগ্রো প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেড' এবং মুম্বইয়ের একটি সংস্থার হদিস পেয়েছিল সিবিআই। এছাড়া, গোপালের নামে পাওয়া গিয়েছিল আরমান ট্রেডিং কোম্পানি নামে একটি সংস্থার হদিস। এই সব কটি সংস্থাই কিন্তু কিছু বছর পরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে সিবিআই সূত্রের খবর। যদিও আরমান ট্রেডিং কোম্পানি পরবর্তীকালে হস্তান্তরিত হয়।
আরও পড়ুন: গোপাল, বিকাশ এবং আরমান, বিভিন্ন নামের আড়ালে কি একজনই? ধন্দে গোয়েন্দারা
সিবিআই সূত্রে খবর, বেহালায় 'উইনার্স জোন এন্টারটেইমেন্ট' নামেও একটি কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল। ওই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন আরমান গাঙ্গুলি ওরফে গোপাল এবং বিশ্বনাথ গায়েন। যদিও বাস্তবে ওই ঠিকানায় এই নামের কোনও সংস্থার অস্তিত্ব নেই। এরাজ্য ছাড়াও ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশও গোপালের বেশ কয়েকটি কোম্পানি ছিল বলে জানা গিয়েছে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গোপালের মতো এবার হৈমন্তীর ভিনরাজ্যে অফিসের উপরেও নজর দিচ্ছে সিবিআই। ভিনরাজ্যে আর কোনও কোম্পানি আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিবিআইয়ের স্ক্যানারে এবার আরমান-হৈমন্তীর ভিনরাজ্যর কোম্পানি! এই সংস্থাগুলি কেন বন্ধ? কীভাবে লেনদেন হতো এই সব সংস্থায়? সবটাই তদন্ত করে দেখছে সিবিআই।
ARPITA HAZRA