Primary TET Scam: গোপাল, বিকাশ এবং আরমান, বিভিন্ন নামের আড়ালে কি একজনই? ধন্দে গোয়েন্দারা

Last Updated:

চিটফান্ডের এজেন্ট এবং টিম লিডার থাকার কারণে গোপাল ওরফে বিকাশ দলপতির জনসংযোগ অনেকটাই বেড়েছিল। তছরূপ করা টাকার দৌলতে একাধিক মহিলা এবং প্রভাবশালীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছিল এই গোপাল।

কলকাতা: কে এই গোপাল দলপতি? এত টাকা কোথা থেকেই বা পেলেন? কুন্তলের মুখে গোপালের নাম সামনে আসা ইস্তক এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মানুষের মনে। কিন্তু, গোটা বিষয়টা বুঝতে হলে একটু পিছনের দিকে হাঁটতে হবে।
সূত্রের খবর, ২০০৮-০৯ নাগাদ ডায়মন্ড হারবারে 'সন্মার্গ' নামে একটি চিটফান্ড সংস্থার মাধ্যমে বিকাশ দলপতির উত্থান। খুব অল্প দিনের মধ্যেই সেই চিটফান্ড সংস্থার এজেন্ট থেকে টিম লিডার হয়ে উঠেছিল সে। এরপর থেকে ধীরে ধীরে তাঁর অর্থনৈতিক প্রতিপত্তিও বাড়তে থাকে। একটা সময় ফুরিয়ে যায় 'সন্মার্গ' সংস্থার আয়ু।
আরও পড়়ুন: সরস্বতী পুজোয় হাতেখড়ি হয়েছিল, এবার শুরু রাজ্যপালের বাংলা শেখার ক্লাস
এরপরে একের পর এক আরও নানা ধরনের চিটফান্ড খুলে, ক্রমে তার অর্থ ভান্ডার বাড়াতে থাকে। ২০১৫-১৬ নাগাদ ট্রেড লাইসেন্স বার করে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর এলাকায় 'জি নেট অ্যাডওয়ার্ল্ড প্রাইভেট লিমিটেড 'নামে একটি চিট ফান্ড সংস্থা খোলে গোপাল। এই 'জি নেটে'র মূল কাজ ছিল একজন পাঁচ-হাজার টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করালে, তার কোডে প্রতিদিন ১০টি করে বিজ্ঞাপন দেওয়া।
advertisement
advertisement
সঙ্গে আরও দু'জনকে তার সূত্রে নেটওয়ার্কে যুক্ত করা। সারাদিনে বসে একজন একটি বিজ্ঞাপন দেখলে দশ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ওই সংস্থা। এইভাবে প্রচুর ছেলেমেয়ে যোগ দিয়েছিল এখানে। লোভে পড়ে এক একজন পঁচিশটি পর্যন্ত কোড নিয়েছিল। এই ব্যবসা বিভিন্ন জেলা, অন্য রাজ্যেও বিস্তার করেছিল বলে সূত্রের খবর।
গোয়েন্দাদের দাবি, এই ভাবে বাজার থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা তুলেছিল গোপাল। ১২ জানুয়ারি ২০১৮সালে ROC রেজিস্ট্রেশন করে। সেখানে বিকাশের স্ত্রী হিসেবে দেখা যায় মধুমিতা দলপতির নাম। অবশেষে কয়েক হাজার কোটি টাকা তছরূপ করার পরে বন্ধ হয় এই 'জি নেট'। সেই সময় বেহালাতেও 'জি নেটে'র একটি অফিস ছিল। সেই সূত্রে তাঁর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
advertisement
আরও পড়়ুন: কুচো মাছ দেখে আজকাল নাক সিঁটকায় আজকালকার ছেলেমেয়ে, জানেন কি কত গুণাগুণ আছে এইসব মাছে?
জি নেট'এর টাকা তছরূপ কাণ্ডে পালাতে গিয়ে, দমদম বিমানবন্দরে রাজ্য পুলিশের হাতেই ধরা পড়ে গোপাল দলপতি। তারপর সিবিআই-এর মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিহার জেলে বন্দি ছিল এই গোপাল। এক বছরের কিছু আগে তিহার জেল থেকে বেরনোর পরে গোপাল দলপতি ওরফে বিকাশ ফের চারদিকে নিজের শাখাপ্রশাখা বিস্তার করতে থাকে। গোপাল,বিকাশ কিংবা আরমানের গাঙ্গুলি। আর কতগুলো নাম রয়েছে এই একজনের সেটা নিয়েই ধন্ধে তদন্তকারীরা।
advertisement
shanku santra
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Primary TET Scam: গোপাল, বিকাশ এবং আরমান, বিভিন্ন নামের আড়ালে কি একজনই? ধন্দে গোয়েন্দারা
Next Article
advertisement
Primary Recruitment Case: রাজ্যের মন্ত্রীর হাত ধরেই এসেছে ১২ কোটি টাকা! প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে বিস্ফোরক ইডি! এবার কী হবে চন্দ্রনাথের?
রাজ্যের মন্ত্রীর হাত ধরেই এসেছে ১২ কোটি টাকা! প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে বিস্ফোরক ইডি
  • প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও বিপাকে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা

  • ইডির দাবি, চন্দ্রনাথ সিনহার মাধ‍্যমেই এই দুর্নীতিতে এসেছে ১২ কোটি ৭২ লক্ষ

  • তাপস-কুন্তল-শান্তনু এই ত্রয়ীর চক্রে জড়িত ছিলেন চন্দ্রনাথ সিনহা, দাবি ইডির

VIEW MORE
advertisement
advertisement