কেন্দ্রীয় সরকারের আশ্বাস থাকলেও সেতু নির্মাণ হয়নি। এবার রাজ্যই তা বানিয়ে দেবে। এর জন্য খরচ হবে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। প্রকাশ করা হয়েছে সেতুর নকশা। পাশাপাশি সেতুর সার্ভে, টেন্ডার, ডিপিআর সংক্রান্ত কাজও হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।তাই আর কেন্দ্রের অপেক্ষায় বসে থাকা নয়। রাজ্য সরকার নিজের উদ্যোগেই গঙ্গাসাগরের সেতু বানাবে। তা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে’কাজে এগোল রাজ্য। এই সেতু হবে কেবল-নির্ভর।
advertisement
প্রস্তাবিত এই সেতু খানিকটা দ্বিতীয় হুগলি সেতু বা নিবেদিতা সেতুর মতো দেখতে হচ্ছে।একদিকে কাকদ্বীপ। মুড়িগঙ্গার অপর প্রান্তে কচুবেড়িয়া। মুড়িগঙ্গার উপরই চার কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ হবে। এ কাজে রাজ্যের কোষাগার থেকে খরচ হবে প্রায় এক হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত এই সেতু তৈরির কথা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। প্রায় ছ’বছর আগে প্রস্তাবিত তাজপুর বন্দরের অংশীদার করার কথা বলেছিল রাজ্য। যার পরিবর্তে কেন্দ্রকে এই সেতু তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রস্তাবে সারা দিয়েও শেষপর্যন্ত কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ কেন্দ্র করেনি বলে অভিযোগ। ফলে সাগরদ্বীপের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রতি বছর গঙ্গাসাগর মেলায় আসা কোটি কোটি পুণ্যার্থীর কথা ভেবে রাজ্যের কোষাগার থেকে টাকা খরচ করে এই সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন : এ বার বরাহনগর থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত দৌড়বে মেট্রো? সিদ্ধান্ত জানাবে যাদবপুর
গত বছর গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে রাজ্যের খরচে সেতু নির্মাণের ঘোষণা করেছিলেন তিনি। পূর্ত দফতরের টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কাজ শেষ হওয়ার পর টানা দশ বছর নির্মাণকারী সংস্থার উপরই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকবে।চার লেনের হবে গঙ্গাসাগর সেতু। মোট খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ৪৩৮ কোটি ৬২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৫৪ টাকা। ইতিমধ্যে প্রায় দেড়শো বাসিন্দার কাছ থেকে জমি কেনার জন্য তাঁদের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেছে জেলা প্রশাসন। বাসিন্দারা কত টাকা পাবেন, সেটাও প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়ে গিয়েছে। এবার টেন্ডার ডাকার বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই আরও এক ধাপ এগল মুড়িগঙ্গা নদীর উপর গঙ্গাসাগর সেতু নির্মাণ প্রক্রিয়া।