তারও একদিন পরে দেখা যায় পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে গিয়েছে। এর পর পেঁয়াজের চাহিদা নেই বলা চলে। ফলে বিপদে পড়েছেন আড়তদারেরা। এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্র এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে নতুন ও পুরনো পেয়াঁজ মিলে দু-ধরনের পেঁয়াজ বাজারে এসে পৌঁছাচ্ছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে বাজারে পেঁয়াজ এসে পৌঁছানোর পর আড়তদারদের কাছে সেই পেঁয়াজ পড়ে থাকছে।
advertisement
আরও পড়ুন : ঠান্ডায় জলপাইগুড়িকে টেক্কা দমদমের! এই কারণেই কলকাতা এ বার তাড়াতাড়ি শীত এল
খুচরো দোকানদারেরা পেঁয়াজ খুব অল্প পরিমাণে কিনছে।অন্যদিকে খুচরো বিক্রেতাদের দাবি, প্রতিদিন পেঁয়াজের দাম কম হওয়ার ফলে,তাঁরা পেঁয়াজ অল্প পরিমাণে কিনছেন।সংবাদমাধ্যমে পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ার খবর সম্প্রচার হওয়ার পর,সেই বেশি দামে কেনা পেঁয়াজ কেউ কিনতে চাইছেন না। আরও একটি কারণ, প্রতিদিন পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ার ফলে তারা আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে পারেন। শিয়ালদহ পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ীদের আরও দাবি, নতুন পেঁয়াজ একদিন থাকলেই প্রতি ১০ কেজিতে ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম করে শুকিয়ে ওজন কমে যায়। এছাড়াও পেঁয়াজ রয়ে গেলে সেটা পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে টাস্ক ফোর্স-এর সদস্য কমল দে জানান, ‘ বাজারে আলু পেয়াঁজের দরদাম নিয়ে যত দিন পর্যন্ত একটা নির্দিষ্ট রেগুলেটরি অথরিটি না তৈরি হবে, তত দিন বাজারে ভারসাম্যহীনতা থেকে যাবেই। কারণ যে সমস্ত বিক্রেতারা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন তাঁরা কাঁচামালের ব্যবসা করেন। ফলে পেঁয়াজের মতো কাঁচামাল ২৪ ঘণ্টার পর থেকেই যে কোনও ভাবে ওজন গত হোক কিংবা পচে যাওয়া-দু’ ক্ষেত্রেই ক্ষতির স্বীকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ব্যবসায়ীদের।’
