যাই হোক মঙ্গল ও বুধবার সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে সব জল্পনার অবসান হল। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে ফের বিমান বসুকেই শিলমোহর দিল সিপিএমের রাজ্য কমিটি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, 'বামফ্রন্টের শরিক দলগুলো বিমান বসুকেই অবিভাবক হিসেবে মনে করে। শরিক দলগুলির সাথেও বিমান বসুর সম্পর্ক বেশ ভালো।'
আরও পড়ুন: নজরে ২১ জুলাই, বড় চমক দিতে চলেছে তৃণমূল! মঞ্চের অতিথিদের নিয়ে তুমুল গুঞ্জন
advertisement
বামফ্রন্টের পাশাপাশি অন্যান্য বাম দলগুলির সাথেও বিমান বসুর সমীকরণ অন্য মাত্রায়। সেই জায়গায় অন্য কাউকে চেয়ারম্যান পদে আনলে ভারসাম্যের বদল ঘটে তাল কাটতে পারে। এছাড়া আগামিদিনে সব বাম দলগুলোকে এক ছাতার তলায় এনে রাজ্যজুড়ে কর্মসূচির সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিলো রাজ্য বামফ্রন্ট। তাই বিমান বসুকে ফের চেয়ারম্যান পদে বহাল রেখে বামফ্রন্টের রাস নিজের হাতে রাখারই কৌশল নিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
আরও পড়ুন: 'প্রাণ গেলে যাবে, যতদূর যেতে হয়, যাবো!' আদালতে ছুটলেন অর্জুন! কারণ শুনলে চমকে উঠবেন
একই সঙ্গে এদিন রাজ্য কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবেও বিমান বসুকে ফিরিয়ে আনল সিপিএম। বিমান বসু ছাড়াও অশোক ভট্টাচার্য ও মৃদুল দে-কেও রাজ্য কমিটিতে আমন্ত্রিত সদস্য করা হলো। সূত্রের খবর, বয়স হলেও যে নেতারা সক্ষম ও নিয়মিত দলের কাজের মধ্যে রয়েছেন একমাত্র তাঁদের জন্য দল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিগত বেশ কয়েকটি নির্বাচনে তুলনামূলক ভাবে ধারাবাহিক ভাবে ভালো ফল করছে সিপিএম। বিজেপিকে পিছনে ফেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসছে দল। তাই আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোমড় বেধেই নামতে চাইছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। এবং বৃহত্তর বামফ্রন্টের কর্মসূচির মাধ্যমেই সিপিএম রাজ্যজুড়ে সেই সলতে পাকানোর কাজ করতে চাইছে বলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর। আর সেই রণকৌশলে সিপিএম বিমান বসুকেই ক্যাপ্টেন হিসেবে বেছে নিলো বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা