আরও পড়ুন: বেনজির বিধানসভা, হাতাহাতিতে তৃণমূল-বিজেপি বিধায়করা! নাক ফাটল অসিত মজুমদারের
বিনিময় প্রথায় বহু সমস্যা কাটাতে শুরু হয়েছিল মুদ্রার। ধাতব এই বস্তুটি পরবর্তীতে হয়ে ওঠে আর্থিক লেনদেনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তাই ইতিহাসের অন্যতম প্রামাণ্য দলিল হিসাবে ধরা হয় মুদ্রাকে। মুদ্রার মধ্যে দিয়ে ইতিহাসকে খোঁজেন উৎসাহীরা,গবেষকরা। ইতিহাস সংরক্ষণের পাশাপাশি এই মুদ্রার মাধ্যমে ইতিহাসের হারিয়ে যাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে উঠে আসে। মুদ্রা সংগ্রহ নিয়ে সাধারণের মধ্যে আরও সচেতনতা বাড়াতে এই মুদ্রা প্রদর্শনী।
advertisement
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে নৃশংসতা, কীভাবে রাশিয়ার পুতিনের বিচার করা হতে পারে?
এই মুদ্রা প্রদর্শনীর থিম নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী। নেতাজির স্মৃতিজড়িত কয়েন, মেডেল এর সঙ্গে ইতিহাসের আরও অজানা তথ্যের সন্ধান পাওয়া যাবে এই প্রদর্শনীতে বলে জানান মুদ্রা প্রদর্শনীর মুখ্য সংগঠক শৈলেন ঘোষ। থ্যালাসেমিয়া এন্ড ইটস প্রিভেনশন সোসাইটি সম্পাদক তথা থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা শৈলেন ঘোষ আরও জানান, রোমান, গ্রিক, সুলতানী,বাদশাহী, ব্রিটিশ, মুঘল জমানার মুদ্রা, বা মুর্শিদাবাদের নবাবদের প্রচলিত কয়েন। এক ছাদের নীচে এই প্রদর্শনীতে মুদ্রা কেনার সুযোগও থাকছে। একইসঙ্গে থাকছে দুষ্পাপ্র নোট,যা গবেষক এবং ইতিহাসবিদদের অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দেবে। তিনি আরও জানান," ডাকটিকিট বা স্ট্যাম্প এর মতো অনেকেই পুরনো বা দুষ্প্রাপ্য মুদ্রা সংগ্রহ করেন। তবে অনেক ক্ষেত্রেই রাস্তার ধারের দোকান বা ঠগ মানুষের থেকে নকল মুদ্রা কিনে সংগ্রাহকরা ঠকে যান। এখানে যে সব মুদ্রা বিক্রি হবে, তা নিউমিসম্যাটিক সোসাইটি-র বিশেষজ্ঞদের দিয়ে যাচাই করিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে।"প্রাচীন বাংলার সামাজিক,অর্থনৈতিক,সাংস্কৃতিক অবস্থার নানা তথ্য এই মুদ্রাগুলি থেকে জানা যাবে। তবে শুধু প্রদর্শনী নয়, বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে, বিশেষ করে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রাচীন মুদ্রা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতেই এই আয়োজন।
Avijit Chanda
