এ দিন কলকাতা, বেহালা, সোনারপুর, বারুইপুর, দমদম, সল্টলেক, কামারহাটি, হাওড়া এলাকার তৃণমূলের বিএলএ-দের নিয়ে মূলত এই বৈঠক করেন তৃণমূলনেত্রী৷ খসড়া তালিকায় যাঁদের নাম বাদ পড়েছে, সেই ভোটারদের কীভাবে সাহায্য করতে হবে, কোন ইস্যুগুলির উপর পাল্টা যুক্তি সাজিয়ে ভোটারদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে, তা নিয়েই মূলত পরামর্শ দেন মমতা৷
advertisement
এসআইআর প্রক্রিয়ার জটিলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তৃণমূলনেত্রী বলেন, কারও বিয়ে হয়েছে৷ মেয়েরা শ্বশুরবাড়িতে যায়৷ কেউ পদবী বদলায়, কেউ বদলায় না৷ যাঁরা পদবী বদল করছেন, আপনি তাঁদের নাম বাদ দিয়ে দিচ্ছেন৷ কেউ হয়তো বাবা মায়ের নাম লিখতে গিয়ে ইংরেজিতে a-র বদলে e লিখেছেন, আপনি তাঁদের নাম বাদ দিয়ে দিচ্ছেন৷ বাংলায় যেটা আ হয়, ইংরেজিতে ডবল aa হয়৷ কলকাতার আশেপাশে সব ভোটার লিস্ট ইংরেজিতে করেছো৷ গ্রামের একজন হকার, একজন দোকানদার, একজন বস্তি, কলোনি, মহল্লার মানুষ তোমার ইংরেজি বুঝবে কী করে বাবা? ধরুন বাংলায় নাম একতা, কেউ ইংরেজিতে a ব্যবহার করেন, কেউ e ব্যবহার করেন৷ তুমি সেই নাম বাদ দিয়ে দিচ্ছ৷ কয়েকজন তো এই আতঙ্কে আত্মঘাতী হলেন৷ এর জন্য ৪৬টা মানুষের প্রাণ চলে গেল আতঙ্কে৷ বিএলও-দের দোষ নয়, দোষ তোমাদের৷ দায়িত্ব নিতে হবে৷
নামের বানান জট নিয়ে সরব হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘বলছে বাবা মায়ের নাম মিলছে না৷ কীভাবে মিলবে? ২০০২-এ কি প্রাতিষ্ঠানিক সন্তান প্রসব এত সংখ্যায় হত? তখন তো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাড়িতে সন্তানের জন্ম হত৷ ইচ্ছে মতো তখন একটা নাম দিয়েছে, অক্ষর বসিয়েছে৷ আমরা ক্ষমতায় আসার পর হাসপাতালে সন্তান প্রসব ৯৯ শতাংশে পৌঁছেছে৷ এখন যাঁরা জন্মগ্রহণ করবে, তারা বিচার পাবে৷’
শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ২০০২-এর এসআইআর-এর পর ২০০৯ সালে সীমানা পুনর্বিন্যাস করেছিল নির্বাচন কমিশন৷ তখন অনেকেরই ওয়ার্ড, বিধানসভা কেন্দ্র বদল হয়েছে৷ সেই বিষয়টিও মাথায় রাখেনি নির্বাচন কমিশন৷ ঠিকানা বদল হওয়ার কারণেও অনেকের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেই এ দিন অভিযোগ করেছেন তৃণমূলনেত্রী৷
