স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পায়ের ছাপগুলি সাধারণ কোনও জন্তুর নয়। ছাপের আকার ও গভীরতা দেখে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এটি বড় কোনও হিংস্র জন্তুর হতে পারে। এক গ্রামবাসীর দাবিতে আতঙ্ক আরও বাড়ে। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, এদিন সকালে আলু জমির কাজ সেরে খাবারের জন্য বাড়ি ফেরার সময় তিনি সরাসরি একটি বাঘের মুখোমুখি হন। ওই বাসিন্দার দাবি, জমির মধ্যেই তিনি বাঘটিকে নিজের চোখে দেখেন এবং তাঁকে লক্ষ্য করে বাঘটি গর্জনও করে। এরপর সেটি পাশের ঝোপঝাড়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ গয়েশপুর ছিনতাই কাণ্ডে পুলিশের বড় সাফল্য! মাস ঘোরার আগেই গ্রেফতার ৩
এই দাবির পরেই গ্রামে আতঙ্ক চরমে ওঠে। অনেকেই ঘর থেকে বেরোতে ভয় পান, শিশু ও বয়স্কদের বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়। গ্রামের আশেপাশে একাধিক স্থানে বড় আকারের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে বলেও দাবি স্থানীয়দের। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বন দফতরের সারেঙ্গা রেঞ্জে। দুবরাজপুর বিটের বন দফতরের কর্মীরাও দ্রুত হাজির হন। তাঁরা জমিতে পাওয়া পায়ের ছাপগুলি পর্যবেক্ষণ করেন এবং ছবি সংগ্রহ করেন।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পায়ের ছাপগুলি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে, তার পরেই নিশ্চিত করে বলা যাবে ওই এলাকায় কোন জন্তুর চলাচল রয়েছে। যদিও প্রাথমিকভাবে বন দফতরের আধিকারিকদের দাবি, পায়ের ছাপগুলি আকারে বড় হলেও এখনই বাঘের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তবে গ্রামবাসীদের আতঙ্কের বিষয়টি মাথায় রেখে এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ ঘিরে এই ঘটনায় এখন গোটা রায়বাঁধ গ্রাম জুড়ে একটাই প্রশ্ন, জঙ্গলের রাজা কি তবে মানুষের চাষের জমিতে ঢুকে পড়েছে? বন দফতরের চূড়ান্ত রিপোর্টের দিকেই তাকিয়ে আতঙ্কিত গ্রামবাসী।





