এদিন বেলা ৩টে নাগাদ প্রেস ক্লাবে পৌঁছন নুসরত৷ সেখানেই তিনি সাংবাদিক বৈঠক করেন৷ বৈঠকে নুসরত দাবি করেন, ‘‘যে কোম্পানির নামে অভিযোগ উঠেছে৷ ওই কোম্পানির সাথে আমি জড়িত ছিলাম না৷ সেই কোম্পানি থেকে আমি মার্চ ১, ২০১৭ সালে ইস্তফা দিই৷’’
আরও পড়ুন:‘ওই কোম্পানির বিষয়ে আমি কিছু জানি না’, ফ্ল্যাট-দুর্নীতিতে ‘একতরফা’ সাফাই নুসরত জাহানের
advertisement
মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। প্রবীণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে সাংসদ নিজে এক কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন।
এদিন সেই ফ্ল্যাট কেনার বিষয়টি নিয়ে বিশদে ব্যাখ্যা দেন নুসরত৷ তাঁর দাবি, ‘‘অভিযোগ রয়েছে, আমার বাড়ি দুর্নীতির টাকা দিয়ে কেনা৷ এই কোম্পানি থেকে আমি একটা লোন নিয়েছিলাম৷ লোনের অ্যামাউন্ট ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকা৷ এবং, ২০১৭ সালের ৬মে সুদ সহ ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৭১ হাজার ৯৯৫ টাকা কোম্পানিকে ফেরত দিই৷’’
এর পরে নুসরত দাবি করেন, এই সমস্ত লেনদেনের ব্যাঙ্ক ডিটেলস তাঁর কাছে আছে৷ শুধু তাই নয়, ওই সংস্থার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই বলেও এদিন দাবি করেন নুসরত৷ জানান, তাঁর কোনও শেয়ার ওই সংস্থায় নেই৷ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন৷ তবে সাংবাদিক বৈঠকে সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই উঠে যান নুসরত৷
আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতি’ নিয়ে পড়ুয়ার সঙ্গে ‘আমনে-সামনে’ আলোচনা, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা দুই ছাত্রের
প্রসঙ্গত, শঙ্কুদেব তাঁর অভিযোগে ইডিকে জানিয়েছিলেন, গড়িয়াহাট রোডের একটি সংস্থায় যৌথ ডিরেক্টর পদে রয়েছেন নুসরত। ওই সংস্থা ২০১৪ সালে মোট ৪২৯ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছিল প্রত্যেকের থেকে। একই সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, রাজারহাটে হিডকোর দফতরের কাছে তাঁদের প্রত্যেককে ৩ কামরার (৩ বিএইচকে) ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। তিন বছরের মধ্যে ওই ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পর ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও, কেউ কোনও ফ্ল্যাট পাননি।