সিবিআই তদন্তের প্রয়োজনে অন্য কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। ৭ দিনের মধ্যে তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করবে সিবিআই, হাইকোর্টে। আপাতত তদন্তের বাইরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। নির্দেশে জানান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে সৌমেন নন্দী মামলা করে হাইকোর্টে আবেদন করেন ২টি। টেট তার মার্কস জানাক পর্ষদ আর দুই, টেট ফেল করে, সাদা খাতা জমা দিয়ে প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছে অনেকে।
advertisement
সিবিআই তদন্ত করে সত্য সামনে আনুক। মামলাকারী আইনজীবী ফিরদৌস শামিম, হুগলির ৬৮ জন টেট ফেল করে চাকরি পেয়েছে বলে একটি তালিকা আদালতে দেই। আরও একটি তালিকা দিয়ে জানাই, ১৮ জন টেট ফেল অথচ অনেকেই চাকরি পেয়েছে। পাপিয়া মুখার্জি সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। আমাদের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে প্রাক্তন সিবিআই অধিকর্তার সোশ্যাল পোস্ট কে সামনে আনি। লক্ষ্মী গুপ্ত, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আইনজীবী যুক্তিতে জানায়, মামলায় আনা এমন অভিযোগের ভিত্তি নেই। তবে ২০১৭ সালে বোর্ডের সিদ্ধান্তে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৬৯ জন টেট পাশ করেন,প্রশ্ন ভুলের ১ নম্বর পেয়ে। এদের মধ্যে কেউ চাকরি পেয়েছে জানা নেই। ১৮ জনের টেট ফেলের তালিকা নিয়ে কিছু জানা নেই।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর শরীর কুপিয়ে ফালাফালা, স্বামী ঝুলছে গাছের সঙ্গে! বাঁকুড়ায় হাড়হিম কাণ্ড
পাপিয়া মুখার্জি সাদা খাতা নিয়ে বোর্ডের কাছে তেমন তথ্য নেই। ওএমআর শিট হার্ড কপি নষ্ট করা হয়েছে তবে সফট কপি আছে। সওয়ালে জয়দীপ কর, রাজ্যের আইনজীবী জানায়,২০১৭ সালের ঘটনা। সেই অভিযোগের বিচার ৫ বছর পর ২০২২ হতে পারেনা। সিনিয়র আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়ালে,মামলাকারী তার ওএমআর শিট চেয়ে আবেদন করে ব্যর্থ হয়। তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করেও উত্তর মেলেনি।
আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষের কাছে এল ফোন, তাতেই তুমুল আলোড়ন! ফের ক্ষমতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত?
২০২১ সালে শেষ পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই মামলা দায়ের করা।মামলাকারী আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আরও জানান, প্রাথমিক টেটে ১ প্রশ্ন ভুল ছিলো। ভুল প্রশ্নে ১ নম্বর দিয়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ২৬৯ জনকে টেট উত্তীর্ণ করা এই তথ্য প্রথম জানলাম। আগামীতে সিবিআই তদন্ত হলে প্রাথমিকের আরও তথ্য সামনে আসবে বলে অনুমান করি।