মুখ্যমন্ত্রী বনাম বিরোধী দলনেতার আইনি লড়াই (Nandigram Case)। আইনজীবীদের অনেকে মনে করছেন, শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানি হলে পিছিয়ে যেতে পারে হাইকোর্টের শুনানি। শীর্ষ আদালতে বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চে নন্দীগ্রাম ভোট মামলার শুনানি হতে পারে। তবে, এই আইনি জট নিয়ে আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, যেহেতু শীর্ষ আদালতে মামলাটি উঠছে, তাই হাইকোর্টে শুনানি না-ও হতে পারে। তবে সোমবারই জানা যাবে কোন পথে এগোবে এই মামলার ভবিষ্যৎ।
advertisement
গত বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত রেজিস্ট্রারের দফতরকে জানিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীর আর্জি মামলা ১৫ তারিখের তালিকা থেকে যেন সরানো না হয়। বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) জয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। শুভেন্দুর জয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা সেই মামলাটি পশ্চিমবঙ্গের বাইরে অন্য কোনও আদালতে স্থানান্তরিত করার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবীর আর্জির প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রারের দফতরের এই নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
উল্লেখ্য, ‘নন্দীগ্রামে ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে’ এই অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee)। তাঁর নিশানায় ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত জুন মাসে প্রথম হাইকোর্টে মামলাটি ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে। কিন্তু ওই বেঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি থাকায় পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করে মামলা থেকে অব্যাহতি নেন বিচারপতি চন্দ। পরে জুলাই মাসে মামলাটি যায় বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে। কিন্তু এই মামলায় বেঞ্চ বদল হওয়ায় বেঁকে বসেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ওই মামলার বেঞ্চবদল ঘটায় সুবিচার তিনি পাবেন বলে আশা করছেন না।
এরপরেই কলকাতা হাই কোর্টের উপর অনাস্থা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। সেখানে তাঁর আবেদন, কলকাতা হাইকোর্টে চলা মামলাটি পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্য যে কোনও রাজ্যে স্থানান্তরিত করা হোক। এমতাবস্থায় মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ায় বিচারপতি সরকার তিন মাসের জন্য হাই কোর্টে শুনানি মুলতুবি করে দেন। এই নভেম্বরে ফের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো সোমবার হাই কোর্টে উঠছে নন্দীগ্রাম মামলাটি। উঠছে সুপ্রিম কোর্টেও।