পশ্চিমবঙ্গ টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে’র কথায়, ‘‘রাজ্যে চাষের জমি কমেছে। যার ফলে চাষির পরবর্তী প্রজন্ম চাষে আসতে চাইছে না। অন্যদিকে, বৃষ্টি না হওয়ার ফলে সবজি উৎপাদন কমেছে। যার ফলে পরিবার পিছু সবজি চাহিদা কমেছে। তাই বাজারে সব মিলিয়ে সবজির জোগান অনেকটা কম। দাম বেশি।’’
আরও পড়ুন: কালো কাচ লাগানো গাড়ি ঘিরে এবার বিশেষ নজর বিধানসভায়, সতর্ক করে দেওয়া হল নিরাপত্তারক্ষীদের
advertisement
বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই কারণে সরিষার তেলের ব্যবহার কমেছে। যার ফলে বাজারে সরষের তেল বিক্রি আগের থেকে অনেকটাই কম। পোস্তা বাজার এলাকার ভোজ্য তেলের মার্চেন্ট, সুশান্ত চিনের কথায়, ‘‘সবজির দাম বাজারে অত্যধিক হওয়ার ফলে বেশিরভাগ পরিবার তাদের হেঁশেলে রান্নার পদ কমিয়েছে। যার ফলে ভোজ্য তেল আগের তুলনায় প্রতিটা পরিবারে অন্ততপক্ষে ৩০% হারে কমেছে। তাই সর্ষের তেলের চাহিদা নেই বলা চলে। এর ফলে সরষের তেলের দাম এক জায়গায় থমকে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সর্ষের তেলের দাম পুজোর আগে বাড়ার সম্ভাবনা নেই।’’
বাজারের পরিস্থিতি বর্তমানে নদীর মতোই। যখন এক কুল ভাঙে, তখন অন্য কুল গড়ে ওঠে। যখনই সরিষার তেলের চাহিদা কমে, তখন ভেজালের সম্ভাবনা কমে যায়। বাজারে শুধু যে সরষের তেল, তা নয়। সাদা তেল থেকে আরম্ভ করে যাবতীয় ভোজ্য তেলের দাম অনেকটাই কমেছে।
আরও পড়ুন: সায়ন্তিকা-রেয়াতের পরে সদ্য জয়ী চার বিধায়কের শপথ ঘিরেও ধোঁয়াশা, ফের শুরু চিঠির যুদ্ধ
এছাড়াও, স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ চর্বি জাতীয় জিনিস বর্জন করার সঙ্গে সঙ্গে সরষের তেলকেও অনেকটা বর্জন করেছে। ভোজ্য তেল ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে অন্ততপক্ষে ২৫-৩০ শতাংশ সরষের তেল এবং অন্যান্য তেলের চাহিদা কমেছে। তবে সবে বাগানের সবজি চাষ শুরু হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত সবজি বাজারে সবজি কম দামে না পাওয়া যাবে। ততদিন সরষের তেলের চাহিদা অনেকটাই কম থাকবে।