শুনানি প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই গতি আনতে চায় নির্বাচন কমিশন। প্রত্যেকটি টেবিলে প্রতিদিন ১৫০ জন করে ডাকা হবে শুনানির জন্য। প্রত্যেকটি শুনানি কেন্দ্রে ১১টি করে টেবিল থাকবে। ২০০২ এর ভোটার তালিকার সঙ্গে না মিল থাকা প্রায় ২০ লক্ষ ভোটারকে ইতিমধ্যেই শুনানি তে আসার জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে কমিশন। আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে শুনানি প্রক্রিয়া, কমিশন সূত্রে খবর।
advertisement
আরও পড়ুন: এসএসসি নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগের ভেরিফিকেশন ডিসেম্বরেই! জানা গেল দিনক্ষণ, বিরাট আপডেট
শুনানি প্রক্রিয়া কি ভার্চুয়াল করা যেতে পারে? জাতীয় নির্বাচন কমিশনের থেকে জানতে চাইল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। যাদের বানানে সমস্যা রয়েছে, বা কিছু প্রযুক্তিগত ভুলে রয়েছে সেগুলি বুথ লেভেল অফিসাররা মুচলেকা দিয়ে সংশোধন করতে পারছেন। লজিক্যাল ডিসক্রিপন্সির ক্ষেত্রে এই সংশোধন করা যাচ্ছে। কমিশন সূত্রে খবর।” যে কোনও সরকারি কাজে তো সাধারণ মানুষকেই যেতে হয় বিডিও, এসডিও বা জেলাশাসকদের অফিসে। সেক্ষেত্রে বাড়ি থেকে দূরে হলেও তো যেতে হয়। তাছাড়া বিডিও, এসডিও বা জেলা শাসকদের অফিসে নিরাপত্তাও থাকে।” বাড়ি থেকে দূরে শুনানি কেন্দ্র নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কমিশনের জবাব।
রাজ্যের এসআইআর প্রক্রিয়ায় মাইক্রো অবজার্ভার হিসাবে থাকবেন ভিন রাজ্যে থাকা সরকারি কর্মচারীরা। রাজ্যের বাইরে থাকা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ও মাইক্রো অবজার্ভারের দ্বায়িত্বে। রাজ্যের বাইরে থাকেন অথচ কর্মসূত্রে এ রাজ্যে থাকে তাদের ও মাইক্রো অবজার্ভার দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যই প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মাইক্রো অবজার্ভার নিয়োগ করা হয়েছে। আগামী ২৭ তারিখ থেকে শুনানি প্রক্রিয়া শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ২৫ ডিসেম্বর থেকেই আবহাওয়ার চমক! তাপমাত্রার ব্যাপক পরিবর্তনের সম্ভাবনা, জানাল আবহাওয়া দফতর
শুনানি প্রক্রিয়ায় ভোটারদের থেকে জমা পড়া নথি সার্টিফাই করবেন জেলাশাসকরাই। আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে শুনানি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। প্রত্যেকটি বিধানসভার ইলেকট্রোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসাররা ভোটারদের থেকে পাওয়া ডকুমেন্ট অনলাইনে আপলোড করে দেবেন। অনলাইনে আপলোড করার পর সেটি বৈধ না অবৈধ সার্টিফাই করতে হবে জেলাশাসকদের। জেলাশাসকদের সার্টিফাই করার পর আগামী দিনে কোনও গাফিলতি বা অভিযোগ উঠে এলে তার দায় বর্তাবে জেলাশাসকদের উপরেই। এমনই গাইডলাইন তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন বলেই কমিশন সূত্রে খবর।
