গত সোমবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় নতুন দলের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন৷ ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের জন্য রাজ্যের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে নিজের দলের প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করেন তিনি৷ মঞ্চে নিশা চট্টোপাধ্যায়কে নিজের পাশে দাঁড় করিয়েই তাঁর নাম বালিগঞ্জ কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে দেন জনতা উন্নয়ন পার্টির চেয়ারম্যান৷
কিন্তু হুমায়ুন নিশার নাম ঘোষণার পরই তাল কাটে৷ গতকাল সন্ধের পর থেকেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে নিশার একের পর এক রিলস এবং ভিডিও৷ এর পর এ দিন সকালেই ওই ভিডিও এবং রিলসগুলির রুচি নিয়ে প্রশ্ন তুলে হুমায়ুন জানিয়ে দেন, নিশাকে বালিগঞ্জ থেকে প্রার্থী করছে না তাঁর দল৷ নিশাকে যে ধরনের ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, তা জনমানসে তাঁর দলের ভাবমূর্তিকে খারাপ করবে বলেও দাবি করেন হুমায়ুন৷
advertisement
তাঁর প্রার্থীপদ বাতিলের কথা জানতে পেরেই পাল্টা হুমায়ুনের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন নিশাও৷ তিনি দাবি করেন, হুমায়ুনের সঙ্গে তাঁর পূর্ব পরিচয় ছিল৷ নতুন দল করলে তাতে তাঁকে জায়গা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন হুমায়ুন৷ যদিও নিশার দাবি, প্রার্থী হবেন বলে তিনি মুর্শিদাবাদে হুমায়ুনের দল ঘোষণার অনুষ্ঠানে যাননি৷ আচমকাই মঞ্চে ডেকে হুমায়ুন বালিগঞ্জের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করে দেন বলেই দাবি নিশার৷
ক্ষুব্ধ নিশা চট্টোপাধ্যায় এ দিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, আমি সমাজসেবামূলক কাজও করি। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার যথেষ্ট ফলোয়ার রয়েছে। আমাকে প্রার্থী করে প্রথমে প্রচার করা হয়েছে, তারপর আবার নাম বাদ দিয়ে অপমান করা হয়েছে। এতে আমার সম্মানহানি হয়েছে। আমার ফলোয়ার্স-রা হতাশ হয়েছে। আমি হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব। কেন তিনি আমার সম্মান নিয়ে খেললেন?
হুমায়ুনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে নিশা আরও বলেন, ‘আমার নাম যখন ঘোষণা হয়েছে তখনও আমি হতাশ। যখন নাম প্রত্যাহার করেছে তখনও হতাশ। উনি নতুন দল করেছেন বলে তাই গিয়েছিলাম। আমি সমাজসেবামূলক কাজ করি৷ মানুষের জন্য কাজ করতে চাই৷ সেই হিসেবে গিয়েছিলাম। আগেই বলেছিলেন দল করলে তোমাকে জায়গা দেব। হঠাৎ আমার নাম ঘোষণা করা হয়।’
