জীবনকৃষ্ণ সাহা পেশায় একজন শিক্ষক। বাবা বিশ্বনাথ সাহা, স্ত্রী টগর সাহা। প্রথমে ২০০৪ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা দিয়ে শুরু হয় তাঁর পথচলা। যদিও ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান। বাবার বিশ্বনাথ সাহার বীরভূম জেলার সাঁইথিয়াতে তেল মিল ও আলুর কোল ষ্টোরেজ আছে।কলেজ জীবন থেকেই তৃণমূল করেন। বীরভূম জেলার ছত্রছায়া নিয়েই তৃণমূল করে আসছেন জীবন। অনুব্রত মণ্ডলের অনুগত হিসেবেই পরিচিত৷ ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী অমিয় দাসকে ২৭৫৩ ভোটে পরাজিত করে জয়ী হন তৃণমূলের জীবনকৃষ্ণ সাহা।
advertisement
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০১৮-১৯ সালে তিনি কিছু প্রার্থীকে জাল নিয়োগপত্র দেন তিনি। মাথা পিছু কখনও সাড়ে তিন লাখ, কখনও তিন লাখ, কখনও পাঁচ লাখ এরকম টাকা নিতেন। যাঁদের জাল নিয়োগপত্র দিয়েছিলেন জীবন, এবার তাঁদের উপর নজরদারি করবে সিবিআই। পাশাপাশি জীবনকৃষ্ণ সাহার দুটি মোবাইল ফরেন্সিকে পাঠানোর জন্য আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা৷ গত শুক্রবার বিকালে ছাদের উপর থেকেই দুটি মোবাইল ফোন ফেলে দেওয়া হয় বাড়ির পাশের পানা পুকুরে। তারপর উদ্ধার কাজে নামে সিবিআই। পরে দুটি মোবাইল ফোনই উদ্ধার হয়।
নিয়োগ দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে। দুটি মোবাইল ফোন ও পেন ড্রাইভ সহ উদ্ধার হওয়া ৫টি ব্যাগ থেকে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি চাকরিপ্রার্থীর নথি পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ছবি দেওয়া অ্যাডমিট কার্ড। সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি চাকরি প্রার্থী মাথাপিছু ৬-১৫লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন জীবনকৃষ্ণকে, এমনটাই অনুমান করছে সিবিআই। কোন প্রভাবশালীকে আড়াল করতে মোবাইল পুকুরে ফেলা হল? কোন উল্লেখযোগ্য ডকুমেন্টস রয়েছে মোবাইলে? সিবিআইএর গোয়েন্দাদের হাতে পড়লে কী জানা যেত? মোবাইল পুকুরে ফেলে কোন তথ্য প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করছেন জীবনকৃষ্ণর? প্রশ্ন উঠছে৷ প্রসঙ্গত, মাস দুয়েক আগে নিয়োগ দুর্নীতিতে কৌশিক ঘোষ নামের এক এজেন্টকে বড়ঞাঁ থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁর কাছ থেকেই সমস্ত তথ্য পেয়েই জীবনকৃষ্ণর বাড়িতে সিবিআই হানা দেয় বলে সূত্রের খবর।