সেখান থেকে দুধ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপারীরা নিয়ে যাযন । শিয়ালদা বৈঠকখানা বাজারে বেশ কিছু দুধ ব্যবসায়ীদের ডেরা রয়েছে । স্টেশন থেকে দুধ সোজা এসে ওই ডেরায় জমা হয়। অভিযোগ, তার পর সেখান একেবারে নিম্নমানের কর্পোরেশনের জল মেশানো হয় দুধে। এক লিটার খাঁটি মহিষের দুধ হয়ে যায় তিন লিটার। সেটার একটা সুন্দর পদ্ধতি রয়েছে। বাজারে দুধের মতো এক ধরনের পাউডার পাওয়া যায়। যে পাউডার ঠান্ডা জলের সঙ্গে মেশালে দুধের মতো দেখতে হয়ে যায়। অভিযোগ, সেই পাউডার গোলানো দুধের মতো সাদা তরলের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয় মহিষের দুধ।
advertisement
আরও পড়ুন : কয়েক বছর গ্রামে থাকছেন বৌদ্ধ ভিক্ষু, বুদ্ধপূর্ণিমায় উদ্বোধন প্রথম বুদ্ধ মন্দির
আরও পড়ুন : ডাক্তার দেখাতে গিয়ে নিখোঁজ ‘চিগি’, পোষা বিড়ালের খোঁজে পুলিশকুকুরের কথা ভাবনা
ওই পাউডারের উপকরণ হিসেবে কস্টিক সোডার অস্তিত্ব আছে বলে জানা গেছে। এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডঃ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘‘এই ভাবে দুধে যদি ভেজাল দেওয়া হয়, তাহলে প্রথমত মানুষ দুধ কিনে ঠকছেন। তাঁরা খাদ্যগুণ সঠিক পাবেন না। তা ছাড়া অভিযোগ, যে ভাবে নোংরা জল পরিস্রুত জল মেশানো হচ্ছে, তার ফলে জলবাহিত হয়ে অপকারী ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরে ঢুকতে পারে। পেট খারাপ, আন্ত্রিকের মত রোগ ছড়াতে পারে। এ ছাড়াও ভারী ধাতু থাকতে পারে জলে। যা মানবশরীরের পক্ষে খুব ক্ষতিকারক।’’