জোকা থেকে তারাতলা এই মেট্রো পরিষেবা শুরুতে ‘ওয়ান ট্রেন সার্ভিস’ ব্যবস্থায় চলবে বলে জানিয়েছেন কর্তারা। একটি ট্রেন জোকা ছেড়ে বিভিন্ন স্টেশন হয়ে তারাতলা পৌঁছবে। আবার ফিরতি পথে ওই লাইন ধরে অথবা পাশের লাইন দিয়ে তারাতলায় ফিরে আসবে।মেট্রোর কর্তাদের মতে, একটি ট্রেন নিয়ে মহড়া দৌড় শুরু হলে সিগন্যালিং ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই। একাধিক ট্রেন লাইনে থাকলেই সিগন্যালিং ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়।সূত্রের খবর, মেট্রোর পরিষেবায় ডিপোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, রেক রক্ষণাবেক্ষণে উপযুক্ত পরিকাঠামো ছাড়া পরিষেবা শুরু সম্ভব নয়।
advertisement
জমি জটে ডিপোর নির্মাণ দীর্ঘদিন থমকে ছিল। জোকা থেকে তারাতলার মধ্যে মেট্রোর উড়ালপথ নির্মাণ এক দশক ধরে চললেও ডিপো নির্মাণের জমি অধিগ্রহণ গতি পায় ২০১৭ সালের পর থেকে। তার পরেও বহু দিন একবারে জমি না মেলায় ডিপোর নির্মাণ শুরু হয়নি। পরে রাজ্য সরকারের তরফে জমিদাতাদের জন্য বিশেষ ভর্তুকির ব্যবস্থা করে জট ছাড়ানো হয়। চলতি বছরের শুরুতে জমির ৯৫ শতাংশের জট কাটায় পুরোদমে নির্মাণ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: আরও ৭০০০ চাকরির নিয়োগপত্র! আজ ফের কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী! খড়গপুরে একাধিক শিলান্যাস
উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয় নন এসি রেকের ব্যবহার গত বছরের শুরু থেকেই সম্পূর্ণ বন্ধ। পড়ে থাকা সেই রেকই আপাতত মহড়া দৌড়ের জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে। মেট্রো সূত্রের খবর, জোকা-বি বা দী বাগ মেট্রোর ডিপো ও আধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা সম্পূর্ণ হতে আরও বছর দুয়েক লাগবে। রেক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কারশেড ছাড়াও ট্রেন মেরামত এবং পরীক্ষার জন্য বিশেষ লাইন যাবতীয় পরিকাঠামো গড়তে সময় প্রয়োজন। আপাতত ডিপোয় যে পরিকাঠামো গড়া হয়েছে তা দিয়ে মেট্রো পরিষেবা চালানো যাবে বলে জানাচ্ছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।