TRENDING:

অতিরিক্ত শূন্যপদে বেআইনি নিয়োগে এবার নাম জড়াল ব্রাত্য বসুর

Last Updated:

গতকাল অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় আদালতে ডেকে পাঠানো হয় মণীশ জৈনকে। এদিন বিকে আবার সিবিআই দফতরেও তরব করা হয়েছিল তাঁকে। সেখানে তিনি হাজিরাও দেন। বেশ কিছুক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই-এর তদন্তকারীরা। আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আদালতকে সেই কথাও জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ মামলায় এবার সরাসরি নাম জড়াল বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। উপর মহল থেকেই তাঁর কাছে অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ এসেছিল বলে আদালতকে জানালেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন।
advertisement

অন্যদিকে, মন্ত্রিসভাকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি অভিজি‍‍ৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। বললেন, "হয় ক্যাবিনেটকে বলতে হবে যে, আমরা অযোগ্যদের পাশে নেই এবং ১৯ শে মে-র বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে এমন পদক্ষেপ করব যেটা গোটা দেশে কখনও হয়নি।"

আরও পড়ুন, তাপমাত্রা নামবে পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে, জমিয়ে শীত বাংলাতেও

advertisement

আরও পড়ুন,  'সংবিধান রক্ষার' গুরুত্ব বোঝাবেন মমতা, বলবেন শুভেন্দু অধিকারীও!

আদালতে শিক্ষাসচিবকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, "আপনি কি জানেন, কমিশনের আইন অনুযায়ী কোনও বেআইনি নিয়োগ করা যায় না? তা হলে  কেন অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হল?" বিচারপতির এই প্রশ্নের উত্তরে মণীশ জৈন জানান, উপযুক্ত স্তর থেকেই তাঁর কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশ এসেছিল। ব্রাত্য বসুই নির্দেশ দিয়েছিলেন। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেছিলেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন শিক্ষাসচিব। মণীশ বলেন, "আমরা আইনজীবী এবং অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে কথা বলি। আইন দফতরের সঙ্গেও কথা হয়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়। সবশেষে জানানো হয় মুখ্যসচিবকে। তারপরে মন্ত্রিসভায় নোট পাঠানো হয়।"

advertisement

এরপরে ক্ষুব্ধ বিচারপতির মন্তব্য, "আপনি কি মনে করেন যে, অবৈধদের চাকরি বাঁচানো দরকার? এটা কোনও রাজ্যের নীতি হতে পারে ? আবার বলা হচ্ছে, কারও চাকরি যাবে না। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীর কাছে আবেদন দাখিল করার কোনও লিখিত নির্দেশিকা নেই।"

বিচারপতির কথায়,  কেন  প্রতি বছর অতিরিক্ত প্রায় ২৬২ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে এই অযোগ্য প্রার্থীদের জন্য? মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তকে  সংবিধানবিরোধী কাজ  বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি। বলেন, "হয়  ক্যাবিনেটকে বলতে হবে যে, আমরা অযোগ্যদের পাশে নেই এবং ১৯ শে মের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে এমন পদক্ষেপ করব যেটা গোটা দেশে কখনও হয়নি।" এমনকি, তৃণমূলের লোগো প্রত্যাহার করারও হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

গতকাল অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় আদালতে ডেকে পাঠানো হয় মণীশ জৈনকে। এদিন বিকেলে আবার নিজাম প্য়ালেসের সিবিআই দফতরেও তলব করা হয়েছিল তাঁকে। সেখানে তিনি হাজিরাও দেন। বেশ কিছুক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই-এর তদন্তকারীরা। আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আদালতকে সেই কথা জানান রাজ্যের আইনজীবী। গত পরশু স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে এজলাসে জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
অতিরিক্ত শূন্যপদে বেআইনি নিয়োগে এবার নাম জড়াল ব্রাত্য বসুর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল