মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলার যুব সমাজের কাছে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন নেতাজি। আমি নেতাজির থেকে অনুপ্রাণিত। আমার বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। আমি ছেলেবেলা থেকে নেতাজির কাহিনি শুনেছি। নেতাজিকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। নেতাজির স্মৃতি ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই ইতিহাস তুলে এনেছেন।”
advertisement
নেতাজি প্রসঙ্গে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করে মমতা বলেন, “বাংলা জানে কী করতে হবে, কী করতে হবে না। কখন, কোথায়, কী করতে হবে বাংলা জানে। গান্ধিজি, নেতাজি মহান যোদ্ধা ছিলেন। দেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে আমি সরকারি, বেসরকারি এবং সমস্ত লাইব্রেরিকে যুক্ত করে রাজভবনের তরফে একটা গবেষক টিম করব। যাঁরা গবেষণা করবেন নেতাজিকে নিয়ে। স্বাধীনতার পর নেতাজির সঙ্গে হিটলারের সখ্যতা নিয়ে প্রশ্ন গড়ে উঠেছিল।”
নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলেও নেতাজি প্রসঙ্গে মমতা লেখেন, “নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৭ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করতে গিয়ে আজ আমার হৃদয় এক সত্যিকারের নায়কের জন্য গভীর আবেগে আপ্লুত হয়ে ওঠে, যিনি আমার কাছে বহু যুগ ধরে এক অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে রয়েছেন। তাঁর সাহস, দূরদৃষ্টি এবং মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা আমার মধ্যে গভীর আবেগ জাগিয়েছে। নেতাজির আত্মা সময়কে অতিক্রম করেছে এবং স্বাধীন ভারতের প্রতিটি হৃদস্পন্দন হয়ে তিনি বেঁচে থাকেন আজও। আজ, আসুন আমরা তাঁর যাত্রার সংগ্রামের স্মরণ করি এবং তাঁর আত্মত্যাগের সেই বীরগাথার প্রতিটি মুহূর্ত অনুভব করি। আসুন আমরা তার দৃষ্টিভঙ্গি এবং সাহসিকতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করি!”
মঙ্গলবার,নেতাজির জন্মবার্ষিকীতে রেড রোডে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান ও সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান হয় রাজ্য সরকারের তরফে। সেখানে প্রতিবারই নিজে উপস্থিত থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এবারও ছিলেন। আর সেখান থেকে এদিন দেশনায়ককে নিয়ে কেন্দ্রের উদাসীনতাকে কার্যত তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী।