তবে এ রাজ্যের কথা যে তিনি বলছেন না সেও উল্লেখ করেন তিনি। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে গিয়েছিলেন বলিউড অভিনেতা সলমন খান। তিনি বেরিয়ে যাবার পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্নাটকে বিজেপির হার নিয়ে মন্তব্য করার পরপরই রাজ্যপাল পদ ও রাজভবনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এমনকি রাজ্যপালের শাসন পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন – IPL 2023: মাঠে মিনি লঙ্কাকাণ্ড! ডাগআউটের দিকে নাট-বোল্ট ছোঁড়া হল, তারপর
তিনি বলেন “রাজ্যপালেরা কিভাবে শাসন করছেন? রাজভবনের কি প্রয়োজন রয়েছে? আমি আমার রাজ্যপালের কথা বলছি না।” যদিও কেন তিনি এই প্রশ্ন তুলছেন সে কথা আজ স্পষ্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কথায় “সর্বত্র প্রচুর অর্থ ব্যয় হচ্ছে। বিল ও আটকে রাখা হচ্ছে।” এ রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর এর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছিল। এমনকি টুইটারে তাকে ব্লক করে দেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন। তবে রাজ্যপালের হিসাবে সিভি আনন্দ বোস শপথ নেওয়ার পরেই সেই সংঘাতে কার্যত ইতি পড়েছিল।
আরও পড়ুন – Siliguri News: শিশুর চোখ খুলত না ৩ মাস বয়স থেকে, আজও দারুণ কষ্টে, সাহায্যের আর্জি মা-বাবার
এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকেও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের প্রশংসাও হয়েছিল। কিন্তু ক্রমে সংঘাত বাড়তে থাকে। উচ্চ শিক্ষা দপ্তর কে না জানিয়ে প্রেসিডেন্সি, কলকাতা সহ রাজ্যের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল। এই অতি সক্রিয়তা ভালো চোখে দেখেননি শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর যে বিল সেই বিল কেন আটকে রেখেছেন দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যপাল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন ব্রাত্য বসু। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
SOMRAJ BANDOPADHYAY