মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা সারারাত জেগে ছিলাম। অভিষেকের সাথে আমার রাত তিনটে অবধি কথা হয়েছে। তারপর অভিষেক আমায় বলল, দিদি তুমি এবার ঘুমোতে যাও। আমি বাকিটা দেখছি।’ ভোট গণনায় হিংসা ও লুঠের আশঙ্কা এবং ভোটকে শান্তিপূর্ণ করতেই এই উদ্যোগ বলে জানান মমতা। এমনকী পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীও রাতে সজাগ ছিলেন বলে মন্তব্য মমতার।
advertisement
আরও পড়ুন: জিতেও মার খেল তৃণমূল, কারা মারল? দাঁতনে বিরাট গণ্ডগোল!
এরই সঙ্গে দু-মাস ধরে রাজ্যজুড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচির প্রশংসা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘নবজোয়ার করে ঘরে ঘরে, মানুষের কী চাই, কী প্রয়োজন তা জানা হয়েছে। নবজোয়ারে যারা ছিলেন, তারা ঘরে ঘরে গিয়ে বুঝিয়েছেন। যেটুকু ঘটেছে তা যেন আগামী দিনে না ঘটে সেটা দেখব। ওরা প্রথম থেকেই ভোট চাইছিল না। তিন মাস পিছিয়ে গেল ভোট।’
আরও পড়ুন: সবুজে ঘেরা জলপাইগুড়ির জেলা পরিষদ ফের সবুজ, নজরে নতুন শাসক ‘সুন্দরী’!
ভোট হিংসায় নিহতদের প্রতি এদিন সমবেদনা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের জন্য আমি দুঃখিত। যেখানে যেখানে এই গণ্ডগোল হয়, ইতিহাস দেখুন সেখানে বরাবর হয়। ডোমকল, ভাঙড় আমরা তো জিতিনি। বিরোধীরা জিতেছে। দু লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ১৯ জনের পরিবারকে। সঙ্গে হোমগার্ড চাকরি দেব। মৃতরা পরিস্থিতির শিকার। পুলিশকে ফ্রি হ্যান্ড দিচ্ছি৷ যারা অপরাধী ব্যবস্থা নিন।’
আবীর ঘোষাল