বিধানসভায় এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘ওয়াকফ সংশোধন বিল নিয়ে সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা হয়নি। ওয়াকফ বোর্ড ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসছে। ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ আইনের সংশোধন করা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। ২০২৪ সালে যেটা আনা হয়েছে, তা রাজ্যদের সঙ্গে কনসাল্ট করা উচিত ছিল বলে আমি মনে করি। আমরা সংবাদমাধ্যমে দেখে জানি সেটা। আমাদের সাংসদরা পার্লামেন্টে প্রতিবাদ করেছিলেন। একটা জয়েন্ট কমিটিও হয়েছে। এই বিলটা নিয়ে সরকারকে জানানো হয়নি। আশ্চর্যজনক ভাবে আমরা যখন চাকরি দিই, আমরা একটা বিজ্ঞাপনও দিয়েছি। কেন্দ্র শুধু একটা কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে বলেছে যদি কোনও অসুবিধা হয় তাহলে এই ওয়েবসাইটে জানতে পারেন।’’
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘ওয়াকফ নিয়ে আমাদের কথা দফতর থেকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম। যদিও এই বিলটা যৌথ সংসদীয় কমিটিকে পাঠানো হয়েছে। সবাই সেটা বয়কট করেছে। ওয়াকফে সবাই দান করে। শুধু মুসলিমরা নয়, হিন্দুরাও দান করে। তাদের কি বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ করে দেব? যদি কোনও ধর্মের উপর অত্যাচার হয়, অবশ্যই আমরা প্রতিবাদ করব। অন্য দেশেও যদি ধর্ম নিয়ে কিছু হয়, আমরা সমর্থন করি না। আমরা নিন্দা করি। ওয়াকফ বিলটি যে পেশ করা হয়েছে তাতে সাম্যের অধিকারটি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র এমন কোনও আইন করতে পারে না, যাতে রাজ্য বিধানসভার ক্ষমতা খর্ব হয়। এখানে রাজ্য বিধানসভার ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে।’’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আরও বলেন, ‘‘আমরা যখন ক্ষমতায় আসেনি, সংখ্যালঘু দফতরের বাজেট ছিল ৪৭২ কোটি টাকা ৷ এখন সেটা ১০ গুণ বেড়ে ৪৩৮১ কোটি টাকা হয়েছে ৷ ওয়াকফ বোর্ডের মেইনটেইন-এর জন্যই ২২ কোটি টাকা দিতে হয়। সুপ্রিম কোর্ট একটা নির্দেশ দিয়েছে বুলডোজার দিয়ে কারোর সম্পত্তি ভাঙা যাবে না, আপনারা সেটা জানেন। আমরা ইংরেজি মাধ্যমে মাদ্রাসা করে দিচ্ছি। যারা পিছিয়ে রয়েছেন, তাদের তো সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে হবে। ১ লক্ষের বেশি হজ যাত্রা হয়েছে। হজ হাউস হয়েছে। আমি তো আর বুলডোজার দিয়ে সরাতে পারব না। আপনারাও দ্বায়িত্ব নিন যাতে কেউ সরকারি সম্পত্তি দখল করতে না পারে। রাজ্যের নয়, কেন্দ্রেরও নয়।’’