নিজেদের পুলিশ কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু দেখা যায় তাঁর পরিচয়পত্রটি ভুয়ো। এরপরই তাঁকে আটক করা হয় বলে খবর। জানা গিয়েছে, কালীঘাট থেকে আটক ব্যক্তির নাম শেখ নুর আলম পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। তাঁর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, ভোজালি, মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে ওই ব্যক্তির থেকে। ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে একাধিক ভুয়ো পরিচয়পত্র মিলেছে বলে খবর।
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, একটি প্রাইভেট গাড়িকে হরিশ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে আটকায় পুলিশ, নিজেকে পুলিশকর্মী দাবি করলেও কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি ওই যুবক। তাঁকে কালীঘাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা চলছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের থেকে একটি ভুয়ো পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভুয়ো পুলিশ পরিচয় দিয়ে মমতার বাড়িতে ঢুকতে গেল কে? ২১ জুলাই সকালেই তোলপাড় বাংলা
প্রসঙ্গত, গত বছর এই জুলাই মাসেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চত্বরে লুকিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তিকে আটক করে নিরাপত্তারক্ষীরা তুলে দিয়েছিলেন কালীঘাট থানার পুলিশের হাতে। ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির আশপাশে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অনুপ্রবেশের ঘটনায় অভিযুক্ত হাফিজুল মোল্লাকে দোষী সাব্যস্তও করে আদালত।
আরও পড়ুন: মমতার কড়া নির্দেশ, নন্দীগ্রামে গ্রেফতার এক ভিলেজ পুলিশ! কী করেছেন তিনি?
২০২২ সালের জুলাই মাসে রাতের অন্ধকারে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চত্বরে ঢুকে পড়েছিল সে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কনফারেন্স হলের পিছনের দিকে রাতভর ঘাপটি মেরে লুকিয়ে ছিল হাফিজুল। হাতে ছিল একটি রড জাতীয় বস্তু। পরে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে ধরা পড়ে যায় হাফিজুল। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা বলয় এড়িয়ে ঢুকে পড়া সেই হাফিজুলকে এবার দোষী সাব্যস্ত করে আলিপুর আদালত। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৫৮ ধারায় (আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়ে অন্যায়ভাবে রাতের বেলা বাড়িতে ঢুকে পড়া) দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাকে। আদালত হাফিজুলের ১ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে।