এদিন এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ওই সমস্ত ফলক তুলে নেওয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূলনেত্রী৷ বলেন, ‘‘শান্তিনিকেতন থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম তুলে দিল। যদি ওই ফলক না তোলে, তাহলে কাল সকাল ১০টা থেকে আমাদের লোকেরা রবীন্দ্রনাথের ছবি নিয়ে বসবে।’’
advertisement
শান্তিনিকেতনের প্রাক্তনী ইন্দিরা গান্ধির দল, কংগ্রেসের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কে সি ভেণুগোপাল সোশাল মিডিয়ায় নাম না করে নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘‘আজ, ভয়, ঘৃণা, বিভেদের প্রধান হোতা, নিজেকে মহান শান্তিনিকেতনের আচার্য হিসাবে তুলে ধরতে চাইছেন! তাও ঠাকুরকে মুছে ফেলে!’’
আরও পড়ুন: স্কুলের বইয়ে ‘ইন্ডিয়া’ বনাম ‘ভারত’! NCERT-কাণ্ড নিয়ে তুমুল তোপ মমতার
কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশও তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘‘নেহরুকে মুছেও শান্তি নেই! এবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে মুছে ফেলতে চাইছে এরা!’’
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কো-র ওই স্বীকৃতি মিলেছে। উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে রবীন্দ্রভবন, উপাসনা গৃহ, গৌরপ্রাঙ্গণ ইত্যাদি জায়গায় শ্বেতপাথরের ফলক বসেছে বিশ্বভারতীতে। সেগুলিতে ‘ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ লেখার নীচে নাম রয়েছে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। এ বিষয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ও মন্তব্য করতে চাননি।