রেল পুলিশ জানিয়েছে, বছর চব্বিশের ওই যুবকের নাম সুমন আলি। তার বাড়ি উত্তরপ্রদেশের মথুরার সরাই এলাকায়। তবে সম্প্রতি সে কাশ্মীরের শ্রীনগরে থাকত। সেখানে একটি স্ক্র্যাপ মালের দোকানে কাজ করত বলে সে পুলিশকে জানিয়েছে। তার কাছে আধার কার্ড ও একটি মোবাইল পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, ধৃতের মোবাইলের কল লিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো ও সিআইডির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।রেল পুলিশ সূত্রের খবর, গত বুধবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ কলকাতা স্টেশন ছেড়ে রানাঘাট হয়ে সকাল ৯টা ১১ নাগাদ গেদে স্টেশনে পৌঁছয় মৈত্রী এক্সপ্রেস। মাঝের ১২০ কিলোমিটার যাত্রাপথে সেটি কোথাও থামে না।
advertisement
আরও পড়ুন: একযুগ পর উষ্ণ মকরস্নান, আসছে আবহাওয়ার বিরাট বদল! বৃষ্টি ভাসাবে এবার
আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী গেদে স্টেশনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে চেকপোস্ট পার করে বাংলাদেশে চলে যায়।এদিকে দুই বাংলার সংযোগকারী এই ট্রেনে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা। পূর্ব রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ট্রেনটির ঢোকা, বেরনো, যাত্রী সুরক্ষা, ট্রেনে এসকর্ট থেকে লাইন- সব দেখার দায়িত্ব বিএসএফের । এই দেখভালের জন্য এক কোম্পানি বিএসএফ রয়েছে। পূর্ব রেলের আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছে কলকাতা স্টেশনে এই ট্রেনের দেখভালের দায়িত্ব বিএসএফের। তাদের তরফে খতিয়ে দেখা হচ্ছে গোটা বিষয়টি।প্রকাশ্যে চলে এসেছে চরম গাফিলতি।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় পূজিত হচ্ছেন মা লক্ষ্মী, অভিনব আয়োজন
ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী এক্সপ্রেসের চাকার পাশে থাকা বাক্সে শুয়ে প্রায় ১২০ কিলোমিটার পাড়ি যুবকের! সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের খুলনা পৌঁছনোর উদ্দেশ্যেই এভাবে যাত্রা করেছিল, পুলিশকে জানায় ধৃত যুবক।নদিয়ার গেদে স্টেশনের চেকপোস্টে ওই যুবককে দেখে ফেলেন আরপিএফ কর্মীরা। তাকে গ্রেপ্তার করে রানাঘাট রেল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কলকাতা স্টেশনের ট্রেন প্ল্যাটফর্মে আসা ও ছেড়ে বেরনোর আগের মুহূর্তের সব সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হচ্ছে খতিয়ে৷ এছাড়া কারশেডেও এবার বাড়ছে নজরদারি।