মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যের মহিলাদের ক্ষমতায়ন ও কল্যাণে কী কী প্রকল্পের রূপায়ণ করেছে, রাজ্যের মহিলারা কীভাবে সেগুলির সুবিধা পান, তা নিয়েই এদিন প্রচার চালান মহিলা কমিটির সদস্যেরা। তৃণমূল বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে মহিলা সদস্যরা ট্রামে চড়ে এসপ্ল্যানেড থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত যান। অবশেষে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয় গড়িয়াহাট ট্রাম ডিপোয়।
advertisement
চলার পথে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন নেত্রীরা এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নারী কল্যাণকামী প্রকল্পগুলি নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা তুলে ধরেন, চলতি বছর সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস হওয়ার বহু আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের ময়দানে মহিলা জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তাঁদের পদ সংরক্ষণে উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যে কীভাবে নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিয়েছে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা সেটাই তুলে ধরেছি। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় বাংলার নারীরা বরাবর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্ব পেয়েছেন। দেশের আর কোথাও পঞ্চায়েত স্তরে মহিলাদের ৫০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়নি। মানুষও সবটা জানেন। নারীর ক্ষমতায়ন উৎসবের মতো। যা অবশ্যই পালন করা উচিত।’’
চলার পথে বিভিন্ন জায়গায় নেত্রীরা ট্রাম থেকে নামেন এবং লিফলেট বিলি করেন। সেই লিফলেটে রাজ্য সরকারের নারীকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল- লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী এবং কন্যাশ্রী। শহরজুড়ে বাসিন্দাদের মধ্যে মিষ্টি বিলি এবং বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের নেত্রীরা।
বিজয়া আর দীপাবলির শুভেচ্ছা লেখা ব্যানারে এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নারীর ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টা তুলে ধরতে, দুটি রেকের বাইরের অংশে প্লাস্টার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ভিতরেও কলকাতার সবচেয়ে বিখ্যাত স্মৃতিস্তম্ভগুলির পুরনো ছবি প্রদর্শন করা হয়েছে। “যদিও বিশ্ব দ্রুত এগিয়েছে, এখনও কিছু সংখ্যক মানুষের মধ্যে ট্রামের একটি নির্দিষ্ট গ্রহণযোগ্যতা আছে, কারণ এটি স্মৃতিমেদুরটা উসকে দেয়। ট্রাম আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে কখনও কখনও আমাদের কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে শক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। ঐতিহ্যের স্বার্থে এর মূল্য অপরিসীম কারণ আমরা সবাই শৈশবে ট্রাম চড়তাম,” কেন এই অনন্য কার্যকলাপের জন্য ট্রাম বেছে নেওয়া হয়েছিল তা ব্যাখ্যা করে বলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য কমিটির সদস্য মৌসুমী দেব বলেছেন যে নেতারা তাদের দলের কাজগুলিতে বিশ্বাস করার কারণে প্রচারের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। “যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণের জন্য কাজ করেছেন, তবুও আমাদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ভুল তথ্য এবং অপপ্রচার চলছে। আমরা এখানে শুধু দলীয় কর্মী হিসেবে নয়, সাধারণ নারী হিসেবেও রয়েছি, যারা দেখেছেন কীভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই একমাত্র নেত্রী, যিনি প্রয়োজনের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ান,” তিনি বলেন।