সূত্রের খবর, লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য মোট আবেদন জমা পড়েছে ১ কোটি ৬০ লক্ষ ৬২৫৮টি। দেখা যাচ্ছে এর মধ্যে ২৬ লক্ষের বেশি আবেদনই অসম্পূর্ণ আবেদন। অন্য দিকে আট লক্ষের বেশি আবেদনকারীকে টাকা দেওয়া যাচ্ছে না ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না থাকার ফলে। এই ৩৪ লক্ষ সংখ্যক আবেদনকারীকে কী ভাবে টাকা দেওয়া সম্ভব তা নিয়েই উত্তর খুঁজছে নবান্ন।
advertisement
মুখ্যসচিবের নির্দেশ প্রত্যেকটি জেলায় যাতে এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তিনি জেলাগুলিকে জানিয়েছেন দরকারে আবেদনপত্র দেখে দেখে ফোন নাম্বার নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। সময়সীমাও বেধে দেওয়া হয়েছে, ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দিচ্ছে নবান্ন।
আরও পড়ুন-উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ম্যারাথন বৈঠক?
লক্ষীর ভান্ডার এ সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকেই। উত্তর ২৪ পরগনা থেকে আবেদন জমা পড়েছে ১৬৭২২৬২, দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে আবেদন জমা পড়েছে ১৬১৮৩২৬, আলিপুরদুয়ার থেকে আবেদন জমা পড়েছে ২৩৫৫৮৯, বাঁকুড়া থেকে আবেদন জমা পড়েছে ৭২৪০৬১।
কোচবিহার থেকে আবেদন জমা পড়েছে ৫৩৬৯৫১, দার্জিলিং থেকে আবেদন জমা পড়েছে ২৪৭২৬০, দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে আবেদন জমা পড়েছে ৩২৭২৬২, উত্তর দিনাজপুর থেকে আবেদন জমা পড়েছে ৩৫৭৬৭৩, হুগলি থেকে আবেদন জমা পড়েছে ৯৯৩৮০০, হাওড়া থেকে আবেদন জমা পড়েছে ৭৬৩৪৫৯, জলপাইগুড়ি থেকে আবেদন জমা পড়েছে ৪০৮২৭২।
ঝাড়গ্রাম থেকে আবেদন জমা পড়েছে ২২২৯৪২, কালিম্পং থেকে আবেদন জমা পড়েছে ৩২৮৭৯, কলকাতা পুরসভা অঞ্চল থেকে আবেদন জমা পড়েছে ৩৬৯৫৮০,মালদা থেকে আবেদন জমা পড়েছে ৬২২৯৫৭, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে আবেদন জমা পড়েছে ১০৬৬৪৬৪, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে আবেদন জমা পড়েছে ৯৩৮৫০০, মুর্শিদাবাদ থেকে আবেদন জমা পড়েছে ১২৪১০২৬, নদিয়া থেকে আবেদন জমা পড়েছে ১০২০৬২২, পশ্চিম বর্ধমান থেকে জমা পড়েছে ৪,৫৪,০১৪, পূর্ব বর্ধমান থেকে জমা পড়েছে ৯৬৪৩৪০, পুরুলিয়া থেকে জমা পড়েছে ৪,৭৫৮৪৮. মোট আবেদন জমা পড়েছে ১৬০০২৬৫৮।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের গ্রাহককে টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু এত সংখ্যক আবেদনপত্র অসম্পূর্ণ এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টও ভ্যালিডেশন না থাকায় সমস্যায় পড়েছে নবান্ন। এত সংখ্যক আবেদনকারীকে অর্থাৎ প্রায় কুড়ি শতাংশেরও বেশি আবেদনকারীকে কী ভাবে টাকা নেওয়া সম্ভব তারই উত্তর খুঁজছে নবান্ন। ইতিমধ্যেই লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন মুখ্যসচিব। জেলাশাসকদের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সব সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।