লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ২০০০ টাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরপরই বিজেপিকে এক হাত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘বিজেপি মিথ্যা কথা বলে বেড়াচ্ছে। আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ২০০০ টাকা করে দেব। আমি বলি তোমরা বলেছিলে উজালা গ্যাস দেবে বিনা পয়সায়, তাও তো কেড়ে নিয়েছো। ভোট এলেই শুধু মিথ্যে কথা বলে।’’
advertisement
আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে নজর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রতিশ্রুতি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা হয়ে ওঠে অন্যতম তুরুপের তাস। কারণ, এ রাজ্যে মহিলা ভোটার প্রায় ৪৯ শতাংশ। সংখ্যায় ৩ কোটি ৫৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৩৭ জন। একুশে ভোট দেন ২ কোটি ৯১ লক্ষ ৭৫ হাজার ২৮৮ জন।
পর্যবেক্ষকদের মতে, একুশের ভোটের ফলে স্পষ্ট, মহিলাদের বিপুল সমর্থন পেয়েছে তৃণমূল। ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মমতার সরকার রাজ্য জুড়ে চালু করে দেয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। মহিলাদের জন্য মাসে মাসে পাঁচশো টাকা
এসসি-এসটি সম্প্রদায়ের মহিলা হলে মাসে হাজার টাকা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার শুরু থেকেই কার্যত ‘সুপারহিট’ সরকারি প্রকল্প।
আরও পড়ুন– চিত্রায় কেতুর গোচর, এই ৫ রাশি উপার্জন ও উন্নতি নিয়ে পড়তে চলেছে সমস্যায়!
তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৯৭ লক্ষ মহিলা প্রতি মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বিরোধীরাও বুঝতে পারছে, মহিলাদের মন জয়ের অন্যতম হাতিয়ার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। তাই এ নিয়ে সুর চড়ানোর বদলে বিরোধী পদ্ম শিবিরের গলায় এখন প্রতিশ্রুতি। শুভেন্দু অধিকারীকে এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক সভায় বলতে শোনা যাচ্ছে যে, ‘‘মা বোনেরা ভয় পাবেন না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা তৃণমূলের নয়। একজনেরও যদি বন্ধ হয়, পঞ্চায়েত সদস্য ও মণ্ডল সভাপতিকে গ্যারেন্টার রেখে গেলাম। আমার কাছে আসবেন। সুদ ও আসলের টাকা মমতার সরকারের কাছ থেকে আদায় করে দেওয়ার দায়িত্ব আমার।’’ আর শাসক-বিরোধী এই সব তরজা শুনে অনেকেই বলছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যেন এখন ভোটের ভাণ্ডার!