পরিবেশ-বান্ধব সামগ্রী দিয়েই শান্তির নীড় বাঁধলেন দম্পতি! প্রবল গরমেও প্রয়োজন হবে না ফ্যান কিংবা এসি-র!

Last Updated:

তাঁদের বাড়ির অন্দরের এবং বাইরের সমস্ত উপকরণই পরিবেশ-বান্ধব। জানলে হয়তো অবাক হবেন যে, বাড়িটি বানাতে সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়নি।

পরিবেশ-বান্ধব সামগ্রী দিয়েই শান্তির নীড় বাঁধলেন দম্পতি! প্রবল গরমেও প্রয়োজন হবে না ফ্যান কিংবা এসি-র!
পরিবেশ-বান্ধব সামগ্রী দিয়েই শান্তির নীড় বাঁধলেন দম্পতি! প্রবল গরমেও প্রয়োজন হবে না ফ্যান কিংবা এসি-র!
জুগল কলাল, দুঙ্গারপুর: বহু মানুষই শহরের বুকে ঝাঁ চকচকে স্বপ্নের একটা ফ্ল্যাট কিনতে চায়। কিন্তু সেই সব মানুষের ভিড়ে এমন মানুষও রয়েছে যারা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করেই নিজের স্বপ্নটা পূরণ করতে চায়। আজ এমনই এক দম্পতির গল্পই বলা যাক। যাঁরা সম্পূর্ণ পরিবেশ-বান্ধব একটি বাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন। তবে শহরের উঁচু উঁচু বিল্ডিং থেকে দূরে শান্ত পরিবেশে একেবারে প্রকৃতির কোলে যেন তাঁদের শান্তির নীড়!
রাজস্থানের দুঙ্গারপুরে ঘর বেঁধেছেন পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার আশিস পান্ডা এবং তাঁর স্ত্রী পেশায় সফটওয়্যার ডেভেলপার মধুলিকা। তাঁদের বাড়ির অন্দরের এবং বাইরের সমস্ত উপকরণই পরিবেশ-বান্ধব। জানলে হয়তো অবাক হবেন যে, বাড়িটি বানাতে সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়নি।
advertisement
advertisement
আদতে ওড়িশার বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সী আশিস। তাঁর স্কুল জীবন অবশ্য কেটেছে চেন্নাইয়ে। এর পর রাজস্থানের পিলানি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন। কর্মসূত্রে ঘুরেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানেও। স্ত্রী মধুলিকা আবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ার বাসিন্দা। পিলানি থেকে তিনিও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন। এর পর মাস্টার্স করতে আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছিলেন। পড়াশোনা করে সেখানে এক বছর কাজও করেন। এর পর দেশে ফেরেন। মধুলিকা জানান, “কলেজের সময় থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, আমরা রাজস্থানে ফিরে যাব। আসলে ওই সময়েই আমাদের মধ্যে বিভিন্ন রকম সামাজিক সমস্যা এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। আর এই কারণেই বড় কোনও শহরে না থেকে প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার সিদ্ধান্ত।”
advertisement
ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব বাড়ি তৈরি করেছেন এই দম্পতি। আশিস ও মধুলিকা ঘর তৈরিতে ব্যবহার করেছেন দেশীয় সব উপকরণ। বলওয়াড়া পাথর, ঘুঘরা পাথর এবং চুন ব্যবহার করে গড়া হয়েছে বাড়িটি। এখানকার সমস্ত দেওয়াল পাথরের তৈরি। কিন্তু কোথাও সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়নি। এমন ভাবনার পিছনে অনুপ্রেরণা ঠিক কী? ওই দম্পতি জানালেন যে, রাজস্থানে নির্মিত পুরনো অধিকাংশ প্রাসাদই পাথর, চুন কিংবা মাটি দিয়ে তৈরি। কোথাও সিমেন্ট কিংবা স্টিল ব্যবহার করা হয়নি। তা সত্ত্বেও বছরের পর বছর অক্ষত রয়েছে এই সব প্রাসাদ। আর সেই দেখেই পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা মাথায় আসে।
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
পরিবেশ-বান্ধব সামগ্রী দিয়েই শান্তির নীড় বাঁধলেন দম্পতি! প্রবল গরমেও প্রয়োজন হবে না ফ্যান কিংবা এসি-র!
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement