এদিন অভিযুক্তর পক্ষের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, ‘‘হেয়ার স্ট্রিটের মামলায় এই গ্রেফতারি বেআইনি। ২৪ ঘণ্টা মধ্যে পেশ করা হয়নি। বৃহস্পতিবার সকাল ১১.৩০ টায় পুলিশ নিয়ে এসে আটক করে। কিন্তু অ্যারেস্ট মেমোয় দুপুর ১৪.০৫ এ গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ,এই গ্রেফতারি বেআইনি।’’
তিনি জানান, একই সঙ্গে অভিযোগ করা হচ্ছে, এই টাকা নয় ছয়-এর অভিযোগ যে কোম্পানির বা সংস্থার বিরুদ্ধে করা হচ্ছে সেই সংস্থা (ওই সংস্থা ডিরেক্টর কৃষ্ণ দামানির স্ত্রী, মা ও মৃত দাদা) ২০০৩ সাল থেকে এই স্কুলের কর্মী ও শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্বে রয়েছে। ম্যানেজমেন্ট এতদিনে কোনও অভিযোগ করেনি। দু’পক্ষের অডিট হয়েছে। কোনও গরমিল গত ২০ বছরে ধরা পড়েনি। আসলে এখন এই অভিযোগ করা হচ্ছে ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য৷ দাবি অভিযুক্তের আইনজীবীর।
advertisement
আরও পড়ুন: বার বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্য সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ! স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব আনল তৃণমূল
প্রসঙ্গত, শহরের নামী এক বেসরকারি স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডে রয়েছেন কৃষ্ণ দামানি ও হর্ষ বর্ধণ লোধা। তার মধ্যে লোধার হয়ে ইন্দ্রানীল চৌধুরী দামানির বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ করেছেন। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানায়।
এদিন শুনানি চলাকালীন পাল্টা সরকার পক্ষের আইনজীবী সওয়াল করেন, আটক ও গ্রেফতারির মধ্যে পার্থক্য আছে। এটা ক্রিমিনাল বিচ অফ ট্রাস্টের কেস। একজন ট্রাস্টি অন্য ট্রাস্টির বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে টাকা নয়ছয় বা আত্মসাৎ করার।
অভিযোগ, ওই নামী বেসরকারি স্কুলের টাকা যায় একটি কোম্পানিতে। যেখান থেকে লোক নিয়োগ করা হত। যা কিনা ডিরেক্টর কৃষ্ণ দামানির আত্মীয়ের। সেখানে যা লোক নিয়োগ হতো তার বেশির ভাগেরই অস্তিত্ব নেই৷ অথচ, তাঁদের নিয়মিত স্যালারি হচ্ছে। সূত্রের খবর, এটাই উঠে এসেছে সামনে।
এই ঘটনায় ব্যালেন্স শিট, মোবাইল, ল্যাপটপ সহ ৯ টি জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এদিন কৃষ্ণা দামানির ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করা হয়। জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেন অভিযুক্তের আইনজীবী। অভিযোগকারীর আইনজীবীর আবেদন করেন, ২০ কোটি টাকার নয়ছয় করার অভিযোগ এসেছে। এই কোম্পানির ডিরেক্টর হলেন অভিযুক্তের আত্মীয়েরা। অভিযুক্ত খুবই প্রভাব শালী ব্যক্তি উনি। ওঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। সব পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে কৃষ্ণ দামানির ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ARPITA HAZRA