বর্তমানে ধর্মতলা-গড়িয়াহাট এবং বালিগঞ্জ-টালিগঞ্জ রুটে ট্রাম চলছে। আরও দু'টি নতুন রুট যুক্ত হবে- ধর্মতলা-খিদিরপুর এবং ধর্মতলা-শ্যামবাজার। এর মধ্যে ধর্মতলা-খিদিরপুর রুটটি হেরিটেজ রুট। এখান দিয়েই ১৯০২ সালের ২৭ মার্চ কলকাতায় প্রথম বিদ্যুৎচালিত ট্রাম পরিষেবার সূচনা হয়। কলকাতাই হল এশিয়ার একমাত্র শহর যেখানে এখনও টিমটিম করে ট্রাম চলে। ১৮৭৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শিয়ালদহ থেকে আর্মেনিয়ান ঘাট পর্যন্ত ৩.৯ কিলোমিটার পথে শহরে ট্রামের চাকা গড়িয়েছিল প্রথমবার। সে ছিল ঘোড়ায় টানা ট্রাম। যদিও বেশি দিন চলেনি।
advertisement
২০১১ সালে রুট ছিল ৩৭
২০১৩ সালে রুট ছিল ২৭
২০১৭ সালে রুট ছিল ১৫
২০১৮ সালে রুট ছিল ৮
২০২২ সালে রুট হল ২
এর পাশাপাশি ২০১১ সালে ট্রামের পথ ছিল শহরে ৬১ কিমি। ২০১৩ সালে ট্রাম পথ ছিল ৪৩ কিমি। ২০১৭ সালে ২২ কিমি। এবং ২০১৮ সালে ট্রাম পথ ছিল ১৫ কিমি। ২০২২ সালে ট্রাম পথ হল ৮ কিমি।
ট্রামের জন্য বিনিয়োগ-২০১১ সালে ৫.৫ কোটি ৷ ২০১৩ সালে ৩.৩ কোটি ৷ ২০১৭ সালে ১.৩ কোটি ৷ এবং ২০১৮ ও ২০২২ সালে কোনও বিনিয়োগ হয়নি ৷
কলকাতা শহরের একাধিক ট্রাম ডিপো পিপিপি মডেলে জমি দেওয়া হয়েছে। ট্রাম রেস্তোরাঁ, বই ট্রাম সবই কোভিডের পরে বন্ধ হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ট্রাম লাইনে চালানো হবে ট্রলি বাস। সে পরিকল্পনাও বিশ বাঁও জলে। আপাতত শ্যুটিংয়ে ট্রাম ভাড়া দিয়ে কিছুটা রোজগার হচ্ছে।
মাঝে মধ্যেই একাধিক পরিকল্পনার কথা শোনানো হয়। যদিও দেখা যায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয় না ৷ বিশেষ করে আমফানের পরে কয়েক বছর কেটে গেলেও আজও খিদিরপুর থেকে ধর্মতলা, ময়দান হয়ে ট্রাম চালু করা গেল না ৷