জার্মানি ছাড়াও এখনও পর্যন্ত বইমেলায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর তালিকায় ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, পেরু, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়ার নাম উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সাল থেকে থেকে গত ২৮ বছর ধরে কলকাতার বইমেলার প্রতিটি সংস্করণে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৯৯ সালের বইমেলায় থিম কান্ট্রি হয়েছিল বাংলাদেশ।
advertisement
সম্প্রতি গুয়াহাটিতে হয়েছিল অসম গ্রন্থমেলা। প্রতি বছর বাংলাদেশের একাধিক প্রকাশনা সংস্থার স্টল থাকে এখানে। গত বার বাংলাদেশের স্টলের সংখ্যা ছিল ১০। কিন্তু এ বছর সে দেশের অশান্ত পরিবেশের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে বাদ দিয়েই শুরু হয়েছিল গ্রন্থমেলা।
গত ২ জানুয়ারি থেকে গত ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত আগরতলা বইমেলা চলে শহরের আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে। মেলার স্টল বরাদ্দ করার জন্য লটারি হয়েছিল বাংলাদেশকে বাদ দিয়েই। ফলে ওই বইমেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ১৫০টি স্টল থাকলেও বাংলাদেশের কোনও স্টল ছিল না।
মেলায় মোট ১০৫৭ টি স্টল থাকবে। গত বছরেও একই ছিল। ভারতের প্রায় সব রাজ্যের প্রকাশনা সংস্থা থাকছে। এ বছর দুটি নতুন প্রবেশদ্বার নির্মিত হয়েছে, একটি সঙ্গীত পরিচালক সলিল চৌধুরী এবং অন্যটি চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের নামে। জার্মান স্থাপত্যের অনুকরণে দুটো গেট থাকছে। থাকছে জীবনানন্দ ও নজরুল গেট। মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট, দমকল বিভাগ এবং অন্যান্য প্রশাসনিক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এবার বইমেলায় থাকছে লটারি। লটারি বিজেতারা পাবেন ১ হাজার টাকা মূল্যের বুক কুপন। সেটা দেখিয়ে তাঁরা স্টল থেকে যে কোনও বই কিনতে পারবেন।
আজ, মঙ্গলবার থেকে বইপ্রেমীদের সুবিধার্থে বাড়তি সরকারি বাস এবং মেট্রোর পরিষেবা থাকবে। বিকেল চারটেয় হবে বইমেলার উদ্বোধন ।