দমদমে যশোর রোডের ধারে কীভাবে এল কামানটি? বিশেষজ্ঞদের মত, কামান উদ্ধার স্থল থেকে ক্লাইভ হাউজের দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। সম্ভবত, কামানটি যুদ্ধের কাজে লাগানো হয়েছিল। পরে হয়তো এই কামান দমদম সেন্ট্রাল জেলের সামনে রাখা হয়েছিল অসংরক্ষিত অবস্থায়। অবহেলায় পরে থেকে বৃহৎ আকারের দুটি কামান ধীরে ধীরে মাটির নিচে চাপা পরে যায়। অনেকেই আবার বলছেন, নবাব সিরাজদৌলার আমলের কামানও হয়ে থাকতে পারে এটি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দিঘায় এ ঘটনা কখনও ঘটেনি! সমুদ্রে যাওয়ার আগেই হোটেলে ঘটল উদ্ভূত সর্বনেশে কাণ্ড! আতঙ্কে পরিবার
কামান উদ্ধারের জন্য সপ্তাহ তিনেক ধরে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়। দুই শতাব্দীরও বেশি প্রাচীন এই বিশালাকার কামান উদ্ধারে উদ্যোগী হয় রাজ্যের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল অ্যান্ড অফিসিয়াল ট্রাস্টি। তারপরেই কামান দুটিকে মাটির নীচ থেকে তুলে আনার কাজ শুরু করে আর্কিওলজিক্যাল বিভাগ। গভীরতা বেশি থাকায় প্রথমে উদ্ধার করতে সমস্যায় পড়তে হয়।
আরও পড়ুনঃট্র্যাক-নন ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলবে, কোন কোন ট্রেন বাতিল? রইল বিস্তারিত
জানা গিয়েছে, দেড় ফুট মাটি খুঁড়তেই শুরু হয় বিপত্তি। মাটির নীচে সিইএসসি-র অসংখ্য হাই ভোল্টেজ বিদ্যুতের কেবল থাকায় বন্ধ করতে হয় কাজ। তখন কামানের শুধু পাঁচ ফুট বার করা গিয়েছিল। তার পর দফায় দফায় চলে খনন। এ দিন সিইএসসি কর্তৃপক্ষর উপস্থিতিতে শুরু হয় খনন কাজ। প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় মাটি সরিয়ে ক্রেনের সাহায্যে বিশাল আকৃতির কামানটি তোলা হয়। উদ্ধার হওয়া ১০ ফুট ৮ ইঞ্চি লম্বা কামানটি দৈর্ঘ্যের নিরিখে মনে করা হচ্ছে এখনও পর্যন্ত কলকাতার সব চেয়ে বড় কামান।
এ দিন খননের পর কামানটিকে ট্রাকে করে নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আপাতত রাখা হবে। পরবর্তীতে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মিউজিয়ামে রাখার ভাবনা-চিন্তা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। কামান উদ্ধার দেখতে উপচে পরেছিল ভিড়। দমদম থানা থেকে শুরু করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এবং আর্কিওলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় অবশেষে কামান উদ্ধার হওয়ায় খুশি এলাকাবাসীরাও। আগামীদিনে এভাবেই ধ্বংস প্রায় হয়ে যাওয়া কামানগুলিকে পুনরুদ্ধারের পর সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
Rudra Narayan Roy