সিবিআই সূত্রে দাবি, ধৃত জীবনকৃষ্ণ সাহা তার আস্থাভাজনশীল স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সাহায্য নিয়েই বাছাই করেছিলেন এজেন্ট, সাব-এজেন্ট। প্রসঙ্গত মুর্শিদাবাদ জেলা ছাড়াও মালদহ, দুই দিনাজপুর, নদিয়া, বীরভূমের মতো জেলাগুলোতে জীবন বিস্তার করেছিল নিয়োগের সাম্রাজ্য।
advertisement
উদ্ধার হওয়া চাকরি প্রার্থীদের তালিকা থেকেই পাঁচ জেলা সম্পর্কে সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। জীবনের বাড়িতে তল্লাশির দিনই সিবিআই দাবি করেছিল, প্রায় ৩৮০০ জন চাকরি প্রার্থীর তালিকা মিলেছিল। এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মত তদন্তকারী সংস্থার।
আরও পড়ুন: হঠাৎ 'নিখোঁজ' মুকুল রায় ...! বিধায়কের খোঁজ মিলল কোথায়? ভাইরাল ভিডিওতে যা দেখা গেল
সিবিআই সূত্রে দাবি, তালিকা থেকে মিলেছে দুই বিধায়কের নামও। তবে এজেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে কৌশল অবলম্বন করতেন জীবন। এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। চাকরি বিক্রির লাভের টাকা থেকে শতাংশের হারে বরাদ্দ ছিল এজেন্ট, সাব এজেন্টের টাকা। মাথা পিছু লাভের ৫ শতাংশ পর্যন্ত দেওয়া হত এজেন্টদের। এই ভাবেই এজেন্ট সাব এজেন্টদের টাকা দিতেন জীবনকৃষ্ণ সাহা, তথ্য পেয়েছে সিবিআই। তাদের আরও দাবি, মাস দুয়েক আগে ধৃত কৌশিক ঘোষও এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন।
সূত্রের দাবি, কৌশিক ঘোষও কমিশন বাবদ পেয়েছেন চাকরি প্রার্থী পিছু ৫ শতাংশ, হেফাজতে থাকাকালীন এমনই বয়ান তিনি দিয়েছেন সিবিআই কর্তাদের কাছে। সিবিআই সূত্রের দাবি, জীবনের নিজস্ব এজেন্ট সংখ্যা ছিল শতাধিক। মুর্শিদাবাদ জেলাতেই জীবনের হয়ে কাজ করতেন কমপক্ষে ৪০ জন এজেন্ট। এছাড়া দুই দিনাজপুর, মালদহ মিলিয়ে সেই সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি।
এই সকল এজেন্টদের সঙ্গে স্থানীয় কোন কেন তৃণমূল নেতার যোগ খতিয়ে দেখছে সিবিআই। তাঁরাও কি নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় লাভবান হয়েছেন? খোঁজ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। হেফাজতে থাকাকালীন এই সকল এজেন্ট সম্পর্কে জেরা করা হবে জীবনকে, এমন দাবিই সিবিআইয়ের। প্রয়োজনে এজেন্টদের তলব করা হবে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।