এই উদ্যোগের সূচনা হয় শিয়ালদহের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার জসরাম মীণা এবং শিয়ালদহ বিভাগের হল্ট কন্ট্রাক্টরদের প্রথম বৈঠকের মাধ্যমে যেখানে ডিজিটালাইজেশন সংক্রান্ত জেনারেল ম্যানেজারের ভিশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। বর্তমানে এই পরিকল্পনা আনুষ্ঠানিকভাবে বাস্তবায়নের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে, যার লক্ষ্য ম্যানুয়াল টিকিটিংয়ের দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলি দূর করে যাত্রীদের জন্য দ্রুততর, নির্ভুল এবং স্বচ্ছ পরিষেবা নিশ্চিত করা।
advertisement
আরও পড়ুন– রাজ্যে শীতের আমেজ, উত্তরবঙ্গে মাঝারি কুয়াশা থাকবে, ঠান্ডার স্পেল চলবে
ডিভিশনের পক্ষ থেকে হল্ট কন্ট্রাক্টরদের প্রিন্টার সরবরাহ করা হচ্ছে, যাতে ডিজিটাল প্রক্রিয়া সহজে সম্পন্ন করা যায়। পাশাপাশি, প্রতিশ্রুতির নিদর্শন হিসেবে বহু কন্ট্রাক্টর নিজ উদ্যোগে প্রিন্টার ক্রয় করেছেন, যাতে ডিজিটাল প্রিন্টেড টিকিট ইস্যু করা যায়। এই আধুনিক ব্যবস্থা বহুদিনের টিকিট ইস্যু সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করবে এবং যাত্রীদের জন্য ‘আপনার দোরগোড়ায় টিকিট’ পরিষেবা নিশ্চিত করে আরও সহজ ও মসৃণ অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।
ডিআরএম শিয়ালদহ, রাজীব স্যাক্সেনা বলেন, ‘‘স্যার গুরুদাস ব্যানার্জি হল্ট এবং পীরতলা হল্টে সফল বাস্তবায়ন আমাদের হল্ট অপারেশনগুলিতে ডিজিটাল যুগের এক ঐতিহাসিক সূচনা। হল্ট কন্ট্রাক্টরদের সঙ্গে প্রথম কৌশলগত বৈঠক থেকে শুরু হওয়া এই যৌথ প্রয়াস জেনারেল ম্যানেজারের ডিজিটাল ভিশনকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছে এবং হাজারো যাত্রীর ভ্রমণ অভিজ্ঞতা উন্নত করছে। শিয়ালদহ বিভাগ পর্যায়ক্রমে অন্য সব হল্ট স্টেশনেও এই আধুনিক টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে, ডিজিটাল উৎকর্ষ এবং যাত্রীদের সহজ ভ্রমণ (Ease of Travel) নিশ্চিত করার লক্ষ্যে।’’
