আরও পড়ুন :‘কোথা থেকে ফাঁস হয় মাধ্যমিকের প্রশ্ন?’, বিস্ফোরক দাবি দিলীপ ঘোষের! যা বললেন...
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিশ্বভারতীর। এর ফলে বিশ্বভারতীর পঠন-পাঠন এবং পরীক্ষার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীরা। পাশাপাশি ছাত্রদের তরফ থেকে আইনজীবী শামিম আহমেদ জানান, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সমস্ত জায়গায় তালা মেরে রেখে দিয়েছে। ছাত্ররা আদালতের নির্দেশ মেনে আইন মোতাবেক এবং পুলিশকে জানিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে আন্দোলন করছে। কর্তৃপক্ষের দাবি সঠিক নয়।
advertisement
আরও পড়ুন :বিজেপির নজিরবিহীন বিক্ষোভ, 'এক বাক্যের' বক্তব্য রেখেই বিধানসভা ত্যাগ রাজ্যপালের!
সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন বীরভূমের পুলিশ সুপারকে বিশ্বভারতীর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট আদালতের কাছে জমা করতে হবে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই রিপোর্ট দিতে হবে। বিশ্বভারতীর পঠন-পাঠনে যাতে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় এবং সেখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় থাকে সে বিষয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে নিশ্চিত করতে হবে। আগামীকাল বেলা সাড়ে দশটায় মামলার পুনরায় শুনানি। এর আগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বিশ্বভারতীর অচলাবস্থা মামলায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ১) আন্দোলন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। পাশাপাশি পড়ুয়াদের এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে করতে হবে। ২) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন আধিকারিকের যাতায়াত অবরুদ্ধ করা যাবে না। ৩) পড়ুয়াদের যা দাবি রয়েছে তা ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে আদালতে জমা দিতে হবে।বারবার বিশ্বভারতীর অচলাবস্থায় জল গড়াচ্ছ আদালতে। বীরভূমের এসপি হাজিরায় স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে ক্যাম্পাস, উত্তর দেবে ভবিষ্যৎ।
Arnab Hazra