রাজ্যের বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, "এই ১৫ কোটি ৫৪ লক্ষ ম্যানগ্রোভ আমরা কী ভাবে রোপণ করলাম সেই অভিযান দেশের বাকি রাজ্যগুলিকে শেখাবে বাংলা। অন্ধ্র, ওড়িশা, গোয়ার মতো উপকূলীয় রাজ্যগুলিকে শেখানো হয়ে গিয়েছে। বাংলার বন দফতরের আধিকারিকরা শিখিয়ে এসেছেন। এবার পালা গুজরাত, মহারাষ্ট্র মতো রাজ্য গুলিকে শেখানোর।"
আরও পড়ুন: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে রিপোর্ট পেশ সিবিআই-এর, বিচারপতি বললেন 'বিস্ময়কর তথ্য'
advertisement
বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরাও থাকবেন এখানে।ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর নবান্নে বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ম্যানগ্রোভ রোপণ করার কথা বলেছিলেন। এই বিষয়ে উদ্যোগী ভূমিকা নেয় রাজ্যের পরিবেশ ও বন দফতর। বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে মোট ১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ রোপণ করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী চর এলাকায় এই ম্যানগ্রোভ রোপণ করা হয়েছে। এক বছরের মধ্যে ম্যানগ্রোভ রোপণের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় বিভিন্ন ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে ম্যানগ্রোভ রোপণের কাজ হয়।
আরও পড়ুন: পুজোর আগে জামিন পেলেন না পার্থ, কল্যাণময়- শান্তিপ্রসাদদেরও জেল হেফাজতের নির্দেশ
শুধুমাত্র ম্যানগ্রোভ রোপণ করাই নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতাও যাতে বৃদ্ধি পায়, সেই উদ্যোগই নিয়েছে পরিবেশ দফতর।দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ম্যানগ্রোভ গাছ কাটার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পরিবেশপ্রেমীরা জানিয়েছেন, ‘ম্যানগ্রোভ রক্ষা করতে গ্রামবাসীদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। উপকূলবর্তী জেলাগুলি যাতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ থেকে রক্ষা পায়, সেজন্য ম্যানগ্রোভ রোপন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
আমফান, ইয়াসের মতো একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের পর উপকূলবর্তী জেলায় প্রাকৃতিক বিপর্যয় সামলাতে ম্যানগ্রোভ অরণ্য করার ওপর জোর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ রোপণের কথা বলেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার এক বছরের মধ্যে সেই ম্যানগ্রোভ রোপণের কাজ শেষ করতে পেরেছে পরিবেশ দফতর।