'রাজ্যের দুইরকম তথ্যেই স্পষ্ট নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অসঙ্গতি।'- পর্যবেক্ষণ বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ২০ জানুয়ারি হলফনামা আকারে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ। মেধাতালিকার কারচুপি করে নিয়োগের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন অনেক পরীক্ষার্থী। বিভ্রান্তিকর তথ্যে অসন্তুষ্ট বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন ডিভিশনে প্রায় ২০০০ জন বনসহায়ক নিয়োগ হয়। জুলাই ২০২২-এ রাজ্য রিপোর্ট দিয়ে জানায়, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমান এই জোনে ১৭০ শূন্যপদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, রাজ্য আবারও রিপোর্ট দিয়ে জানায়, মোট শূন্যপদ ১৬১ টি ।
advertisement
অথচ এই শূন্যপদের জন্য ১৭০ জনের মেধাতালিকা হয়েছে।স্থানীয় স্তরে মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে ২৪ নভেম্বর ২০২০, রিপোর্টে জানায় রাজ্য। ২ বছর ধরে চলা মামলায় অস্বস্তিতে রাজ্য বন দফতরও। ২০২০ সালে ২২ জুলাই মাসে বনসহায়ক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য দেওয়া হয় বিজ্ঞপ্তি। ২০০০ নিয়োগের কথা জানানো হয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলাকে ৯ জোনে ভাগ করে জোন ভিত্তিক হয় নিয়োগ প্রক্রিয়া। আপাতত অভিযোগ বীরভূম ও বর্ধমান জোনকে ঘিরে।
আরও পড়ুন : প্রাথমিকের টেট-এর সব বুকলেট-এর উত্তরপত্র প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
পরীক্ষার্থীরা অভিযোগে জানাচ্ছেন, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জোনেও নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।সেই নিয়োগে স্বজনপোষণ ও অস্বচ্ছতার অভিযোগে মামলা করেন সৈয়দ মহঃ আলি-সহ একাধিক চাকরিপ্রার্থী । অন্য ডিভিশনেও নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন : আজ বিবেকানন্দের জন্মদিন, সকাল থেকে বেলুড় মঠে ভক্তসমাগম
মামলাকারীদের আইনজীবী শমীক চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা প্রমাণ হয়ে গেছে রাজ্যের দেওয়া দুইরকম রিপোর্ট ফারাকে। আমরা নম্বর বিভাজন-সহ মেধাতালিকার জন্য অপেক্ষা করছি। তা হাতে পেলে অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে বলে আমরা আশাবাদী। ’’