বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে কারা আসছেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ফিরহাদ দাবি করেন, চমকে ঠাসা থাকবে এ বারের শিল্প সম্মেলন। তাঁর কথায়, ''বিশ্বের থেকে প্রচুর বড় মাপের শিল্পপতি এবার আসছেন। আমার সঙ্গে যতদূর কথা হয়েছে, বাংলাকেই এখন বিনিয়োগের কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। গোটা বিশ্বেই বাংলাকে নিরাপদ বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে আলোচনা করা হচ্ছে।'' যদিও এরপরই বিরোধীদের নিশানা করেছেন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, ''নিশ্চিত ভাবেই বাংলাকে এখন বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। একই ঘটনা বারবার দেখিয়ে এগুলো করা হচ্ছে। কিন্তু বাংলার মানুষ আর বাংলাকে পিছোতে দেবেন না। বানতলায় এখন কত কাজ হচ্ছে। আইটিতেও বেঙ্গালুরুকে নিরাপদ আর কেউ ভাবছে না, সেক্ষেত্রে রাজারহাট চয়েস হয়ে দাঁড়াচ্ছে।''
advertisement
কেন বাংলায় শিল্প পরিবেশ 'মনোরম'? ফিরহাদের কথায়, ''গত ১১ বছরে বাংলায় কোনও শ্রম দিবস নষ্ট হয়নি। বাংলায় সম্প্রীতির পরিবেশ। আমরা কোনও দিনই শিল্পের বিরুদ্ধে রাজনীতি করিনি। আমাদের বক্তব্য ছিল, মৌলিক অধিকারের উপর। সেই অধিকারের পক্ষেই আমাদের আন্দোলন ছিল। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামে আমরা মৌলিক অধিকারের পক্ষে রাজনীতি করেছিলাম। আমরা বরাবর শিল্পের পক্ষেই থেকেছি।''
আরও পড়ুন: 'দমদার হারবার', পয়লা বৈশাখে নতুন উপহার নিয়ে হাজির হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়!
এরপরই বিজেপির দিকে নিশানা ঘোরান ফিরহাদ। বলেন, ''এখন নোংরা রাজনীতি চলছে। সেন্ট্রাল এজেন্সিগুলোকে বড় সমস্যার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এখন বিরোধীদের হেনস্থা করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা দেশের পক্ষে ক্ষতিকর। এজেন্সিগুলির গ্রহণযোগ্যতাকে নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। বিরোধী বলেই ফিরদাম হাকিমকে চোর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চোর হিসেবে দেখাতে এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করছে। আর ওদের দলে যোগ দিলেই সে ধোয়া তুলসিপাতা।''
আরও পড়ুন: মমতার এক বৈঠকেই কাজ, বড় সিদ্ধান্ত নিলেন দেউচা পাচামির আন্দোলনকারীরা! খুলে গেল জট?
রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী হিসেবে আগামীদিনে ব্যাটারি চালিত গাড়িতেই ভবিষ্যৎ দেখছেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়,''আমরা গ্রিন পরিবহণ নিয়ে ভাবছি। আমাদের অল্টারনেটিভ ফুয়েলের ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যাটারিচালিত গাড়িই ভবিষ্যৎ। আমরা সেই পথেই এগোচ্ছি।''