নদিয়ার নাকাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কল্লোল খাঁ বিধানসভায় পরিবহণ মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, তাঁর এলাকায় বেথুয়াডহরিতে বাস স্ট্যান্ডের কাজ কতদিনে শেষ হবে? উত্তরে পরিবহণ মন্ত্রী জানান, সেই কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। অল্প কিছু কাজ বাকি আছে। এর পর কল্লোল খাঁ অতিরিক্ত প্রশ্ন করে বলেন, “উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৃষ্ণনগরের পান্থ তীর্থ এলাকায় বাসগুলি এসে দাঁড়ায়, কিন্তু সেটা সরকারি বাস স্ট্যান্ড নয়। জাতীয় সড়কের উপর নতুন কোনও সরকারি বাস স্ট্যান্ড তৈরির পরিকল্পনা সরকারের আছে কি না?”
advertisement
এই প্রশ্নের উত্তরেই ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “মানুষের টাকায় আমরা কোনও স্বেচ্ছাচারিতা করতে পারি না। নদিয়া জেলায় অনেকগুলি বাস স্ট্যান্ড রয়েছে। বেথুয়াডহরিতে আরও একটি বাস স্ট্যান্ড করা হয়েছে। তারপরেও কৃষ্ণনগর হাইওয়েতে আবার নতুন করে কোনও বাস স্ট্যান্ড- এর প্রয়োজন আছে কি না সেটা আমাদের দপ্তরের আধিকারিকেরা সমীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেবেন, তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন: যেমন খুশি-তেমন ভাড়া, কলকাতায় বাসের অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে রিপোর্ট তলব
মন্ত্রীর বক্তব্য, যেখানে এতগুলি বাস স্ট্যান্ড রয়েছে সেখানে নতুন করে আবার বাস স্ট্যান্ড তৈরি করা মানে সরকারের অর্থের অপচয়৷ তবে বিধায়কের প্রস্তাব পরিবহণ দফতর অবশ্যই বিবেচনা করে দেখবে।অন্যদিকে আপাতত পরিবহণ দফতরে নতুন করে কোনও কর্মী নিয়োগ হচ্ছে না।
পরিবহণ মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে নতুন করে স্থায়ী কর্মী নিয়োগের কোনও পরিকল্পনা পরিবহন দফতরের নেই। বাম আমলে বাস পিছু ১৩-১৪ জন করে নিয়োগ হয়েছে। তার জের টানতে হচ্ছে এখনো। এইভাবে চালালে তো পরিবহণ নিগমগুলিকে তুলে দিতে হবে। তবে তিনি এটাও জানান যে সরকার এখন যে ই-বাস কিনছে তার জন্য আগামী দিনে অবশ্যই নতুন কর্মী নিয়োগ করা হবে।
প্রসঙ্গত, এখনও রাজ্য সরকার ভর্তুকি দেয় পরিবহণ নিগমগুলিকে। যার জেরে রাজ্যের কোষাগারে অতিরিক্ত টান পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় প্রতিটি জেলা প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে নিয়ম করে বলেন, মানুষের টাকায় যা ইচ্ছা তাই করা যায় না। এবার সেই সুর শোনা গেল পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের গলায়। বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি একথা বুঝিয়ে দিয়েছেন।
