অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় দোষী সাব্যস্ত হবে কি হবে না, আদালতে তা ঘোষণার আগের মুহূর্তেও তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একরাশ প্রশ্ন এবং অভিযোগে সরব হয়েছেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা৷ সংবাদসংস্থা এএনআই-কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তাঁর অভিযোগ, সিবিআই-এর পক্ষ থেকে তাঁদের সঙ্গে কার্যত কোনও যোগাযোগই রাখা হয় না৷ এমন কি, শেষ কয়েকদিন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া কীভাবে এগিয়েছে, তা নিয়েও কোনও ধারণা নেই তাঁদের৷
advertisement
আরও পড়ুন: এনকাউন্টারে মৃত সাজ্জাদ আলম, পুলিশের গুলিতেই শেষ পুলিশকে গুলি করে পালানো দুষ্কৃতী!
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘আমাদের আইনজীবী এবং সিবিআই আমাদের আদালতে যেতে নিষেধ করেছে৷ ফলে শেষ কয়েকদিন আদালতে কী হয়েছে, আমরা কিছুই জানি না৷ সিবিআই কোনওদিনই আমাকে কোথাও ডাকেনি৷ শুধু আমরা তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে জানতে চাইলে তাঁরা আমাদের বাড়িতে দু-একবার এসে জানিয়েছেন তদন্ত চলছে৷’
নির্যাতিতার বাবারও আরও দাবি, ‘আমার মেয়ের ঘাড়ের কাছে একাধিক কামড়ের দাগ ছিল৷ কিন্তু সেখান থেকে লালার নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি৷ ময়নাতদন্ত রিপোর্টেও কোনও জোরাল প্রমাণ নেই৷ সিবিআই খুব বেশি কিছু করছে না৷ এই ঘটনায় বড় কেউ অবশ্যই জড়িয়ে রয়েছে৷ ডিএনএ রিপোর্টে ঘটনাস্থলে চার জন পুরুষ এবং দু জন মহিলার উপস্থিতির উল্লেখ রয়েছে৷ আমরা চাই এই ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকের শাস্তি হোক৷’
গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ করে খুন করা হয় ওই চিকিৎসক পড়ুয়াকে৷ তদন্তে নেমে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ যদিও প্রথম থেকেই কলকাতা পুলিশের তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে নির্যাতিতার পরিবার৷ এর পরই ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে৷
RG Kar Doctor Murder Case: আরজি কর কাণ্ডে আজ সাজা ঘোষণা! শিয়ালদহ আদালত যেন দুর্গ, আরও বড় লড়াইয়ের ইঙ্গিত নির্যাতিতার বাবা-মা’র
বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সিবিআই আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালার থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করলেও সময়মতো চার্জশিট জমা না পড়ায় এই মামলায় জামিন পেয়েছেন দু জনেই৷ ফলে কলকাতা পুলিশের পর এখনও এই মামলায় সেভাবে সিবিআই কতটা অগ্রগতি করতে পারল, তা নিয়ে অনেক দিনই প্রশ্ন উঠছে৷ এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রকাশ্যেই সরব হলেন নির্যাতিতার বাবা৷