বিশ্বম্ভরবাবু একটি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে রেশন প্রকল্প (Duare Ration) কেন্দ্রীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের বিরোধী। তিনি বলেন রেশন পদ্ধতিতে মোট পাঁচটি ক্যাটাগরির রেশন কার্ড রয়েছে।এর মধ্যে বহু মানুষ রয়েছে, যাদের নিজস্ব মোবাইল ফোন নেই। অন্য কারও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে, তারা ফর্ম পূরণ করেছিলেন। যার ফলে রেশন নিতে গেলে তাদের ওটিপি আসছে না। এমনও হয়েছে আঙ্গুলের ছাপ দিলে সেই ছাপ বায়োমেট্রিক মেশিনে মিলছে না। যার ফলে তাদেরকে রেশন দিতে পারছে না রেশন দোকানদার (Ration Dealers)। তিনি এও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বায়োমেট্রিক জানা লোক রাখতে বলেছন। যারা পাড়ায় পাড়ায় রেশন দিতে যাবে।পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা বেতনে বায়োমেট্রিক জানা কিম্বা কম্পিউটার জানা ড্রাইভার এবং খালাসী পাওয়া যাচ্ছে না।
advertisement
আরও পড়ুন: বুকিং লাইনে দাঁড়িয়ে নাজেহাল? IRCTC-তে তৎকাল টিকিট কাটার সময় খেয়াল রাখুন এই কয়েকটি নিয়ম...
এছাড়াও তিনি বলেন দুয়ারে রেশন প্রকল্পে (Duare Ration) গাড়ি ভাড়া এবং আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে। যার ফলে দোকানের বাইরে কোনওভাবে মালপত্র বের করে পাড়ায় পাড়ায় দেওয়া সম্ভব নয়। এই সমস্ত দাবি নিয়ে,জয়েন্ট ফোরাম ফর ওয়েস্ট বেঙ্গল রেশন ডিলার(Ration Dealers) অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে আগামী ২৭শে ডিসেম্বর, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে রানী রাসমণি পর্যন্ত একটি মিছিল করবে। বিশ্বম্ভরবাবু নিজেও একজন রেশন ডিলার। তিনি বারবার রেশন ডিলারদের ক্ষতির খতিয়ান তুলে ধরলেন এই সাংবাদিক বৈঠকে।
তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে মানুষ সঠিক মানের খাদ্য পাচ্ছে রেশন থেকে। এটা গ্রাহকদের দাবি। তবে একটা তথ্য বলছে,প্রচুর রেশন গ্রাহক রয়েছে যারা প্রতি মাসে রেশন (Duare Ration) তোলে না। তাদের,সেই না নেওয়া মালপত্র কে হজম করে? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য দিতে রাজি হননি জয়েন্ট ফোরাম ফর ওয়েস্ট বেঙ্গল রেশন ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, বিশ্বম্ভর বসু।