বিচারক বলেন, আপনারা কী তদন্ত করতে জানেন না? আইও বা তদন্তকারী অফিসারের কী ভূমিকা? কী স্টেপ নিয়েছেন? এই মামলায় অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য। সিবিআই আইনজীবী উদ্দেশে ধমক দিয়ে বিচারক বলেন, আপনি পুলিশ প্রসিকিউটর নন, পাবলিক প্রসিকিউটর। মাথায় রাখবেন। সুব্রত সামন্তর আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী আদালতে আবেদন করেন জামিনের জন্য।
আইনজীবী আবেদন, সুব্রত সামন্ত জেল হেফাজতে। এফআইআর নাম নেই। চার্জশিটে ৩.০১.২৩-এ হয়, তাতেও তাঁর নাম নেই। দূর-দূর পর্যন্ত এসএসসি বা স্কুল এডুকেশনে যুক্ত নন। চার্জশিটে যাঁদের নাম, তাঁদের এজেন্ট হিসাবে নাকি কাজ করেছিল বলে অভিযোগ সিবিআই-এর। চার্জাশিট হয় ১৫ জনের বিরুদ্ধে। এদের বিরুদ্ধে কোনও এফেক্টিভ কোনও ইনিশিয়েটিভ নিয়েছে কিনা সিবিআই, দেখার অনুরোধ করেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী।
advertisement
আরও পড়ুন- বিমান চালানোর সময় পানীয়-গুজিয়া খেয়ে বিপাকে দুই পাইলট ! আপাতত সাসপেন্ড
আরও পড়ুন- শনিবার নিজ রাশিতেই প্রবেশ করতে চলেছেন শনিদেব! এই ৪ রাশির ভাগ্য হবে আলোর মতো উজ্জ্বল
সুব্রতর বহুবার স্টেটমেন্ট রেকর্ড করেছে। এর পরেই সিবিআই আইনজীবী বলতে শুরু করেন। বিচারক থামিয়ে দেন। বিচারক সিবিআই আইনজীবীকে বলেন, আপনিও জানেন, আমিও জানি। বলার দরকার নেই। সিবিআই আইনজীবী জানান, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অন্য কেস-এ তাঁকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে। বিচারক সিবিআই আইনজীবীকে ক্ষুব্ধ হয়ে ধমকের সুরে বলেন , এই কেসের সঙ্গে কী যোগ? সেটা বলুন। তদন্তকারী অফিসার কী স্টেপ নিয়েছে? রেকর্ড এ কী আছে? আগে যে চার্জাশিট দেওয়া হয়েছে সেখানে যাঁদের নাম আছে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়নি। পলাতকও দেখানো হয়নি। সেই বিষয়ে সিবিআইকে ভর্ৎসনা করেন বিচারক। আইও-এর উদ্দেশে বলেন অনেক " লুপ হোলস " রয়েছে। সিবিআই-এর আইনজীবী জানান, ইনভেস্টিগেশন চলছে।
বিচারক সিবিআই আইনজীবীকে ভর্ৎসনার সুরে বলেন, এসপি সিনহাকে জেলে জেরা করা হয়েছে। নিচ্ছে না কেন এই মামলায় এসপি সিনহা-কে? সেই একই জিনিস। কেন এখনও নেওয়া হলও না? বিচারক বলেন ভর্ৎসনা করে, যে কেসে এসপি সিনহা মূল অভিযুক্ত। সেক্ষেত্রে সিবিআই শুধু জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এস পি সিনহাকে কাস্টডিতে না নেওয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। কেস ডায়েরি আনছেন না। বলেন আইনত কি বিষয়টা ঠিক হচ্ছে? সিবিআইকে প্রশ্ন৷
সিবিআই আইনজীবী বলেন, আমরা স্টেপ নিচ্ছি। উল্লেখ্য, এই মামলাতে আগেও সিবিআই প্রশ্নের মুখে পড়ে। কারণ আব্দুল খালেক এসপি সিনহাকে টাকা তুলে দিয়েছে বললেও এই মামলাতে কেন এই সিহনাকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারক। সিবিআইয়ের তরফে এসপি সিনহা ও আব্দুল খালেকের হাতের লেখার স্যাম্পল-এর এক্সামিনেশনের আবেদন করেন। বিচারক বলেন, হাতের লেখা পরীক্ষার কথা উঠেছে। সেক্ষেত্রে এসপি সিনহাকে কি কাস্টডিতে নিয়েছেন ? এটা বেআইনি। সিবিআই বেআইনিভাবে কাজ করছে। এরপর আমাকে অ্যাপ্রোপ্রিয়েট অথরিটিকে জানাতে হবে। আপনারা কিছু না করলে আমি সমস্যায় পড়ব। আপনারা কি তদন্ত করতে জানেন না? প্রশ্ন সিবিআই আইনজীবি ও তদন্তকারীকে৷ আমি যদি এটা অ্যালাউ করি, তাহলে পুরোটাই বেআইনি হবে। আপনি পুলিশ প্রসিকিউটর নন, আপনি পাবলিক প্রসিকিউটর। কার্যত বিচারক ক্ষোভ উগরে দেন।