ওই অবস্থায় ওই মহিলাকে নিয়ে আসা হয় কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।সেখানেই তাঁর সিটি স্ক্যান করে ধরা পড়ে এই রোগ। সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক চিকিৎসক উৎপল দে-এর তত্ত্বাবধানে ওই রোগীর চিকিৎসা শুরু হয়। চিকিৎসক জানান, ওই মহিলা আক্রান্ত "সিউরোমেক্সমা পেরিটোরিআস" নামে একটি রোগে। তবে এই রোগের ক্ষেত্রে যে টিউমারটি দেখা যায় তাহল তরল জাতীয়।
advertisement
অ্যাপেন্ডিক্স বা ওভারি থেকে এই ধরনের রোগ শুরু হয়। তবে এই মহিলার ক্ষেত্রে সেটা হয়েছে ওভারি থেকে। মূলত টিউমারের যে কোষগুলো আছে তা একটা ছিদ্র দিয়ে আচমকা বেরিয়ে সারা পেটে ছড়িয়ে পড়ে। তার ফলে তা জেলির আকার ধারণ করে নেয়। "সাইক্লো রিডাক্টিভ" চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা হয়। সম্পূর্ণ টিউমার থেকে নির্মূল করে দেওয়া সম্ভব হয় না। এই চিকিৎসার মাধ্যমে ওই মহিলার শরীরের টিউমারের মধ্যে থাকা জেলিটাকে বার করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চমক রাজ্যের, নজরে বিশেষ সাঁওতালি নৃত্যানুষ্ঠান
তবে চিকিৎসক জানেন এছাড়াও আরও এক ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। এই চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে "হাইপেক" নামে আরও একটি চিকিৎসা থাকে। যাকে সোজা ভাষায় বলা হয় কেমোথেরাপি। যদি অস্ত্রোপচারের পাশাপাশি কেমোও দেওয়া হয়। রোগীর তাহলে বাঁচার সম্ভাবনা থাকে প্রায় ৮০ শতাংশ। তবে এই রাজ্যে এই চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় না।
আরও পড়ুন : তান্ত্রিকের পরামর্শ! নৃশংস ভাবে হত্যা করে ১০ বছরের শিশুকে ‘নরবলি’ দিল তার আত্মীয়রাই
গত শনিবার ওই রোগীর অস্ত্রোপচার হয় । প্রায় এক গামলা জেলি ওই মহিলার শরীর থেকে বেরোয়। প্রায় আট ঘণ্টা ধরে চলে ওই মহিলার অস্ত্রোপচার। এক একটি জায়গা থেকে ধরে তার টিউমারের পুরো জেলিটাকে বার করে দেওয়া হয়। এরপর ওই রোগীকে দেওয়া প্রয়োজন কেমোথেরাপি। আগামী কিছুদিনের মধ্যে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এর পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে ক্যানসার বিভাগে এবং সেইখানে গিয়ে চিকিৎসা চলবে তাঁর টিউমারটির।
বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ ওই রোগিণী। তিনি জানান, " এখন তরল জাতীয় খাওয়ার খাচ্ছি। তবে আগের থেকে এখন ভাল আছি।’’