ইতিমধ্যেই বিজেপির অন্দরে এই বিষয়টি নিয়ে বেশ জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাহুল সিনহার সভাপতিত্ব কালের পর, সেই পদে এসেছিলেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু দিলীপ ঘোষের সভাপতিত্বে দুটি সময়কালের শেষটির মেয়াদ শেষের আগেই সুকান্ত মজুমদারকে রাজ্য সভাপতি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের ছুটি…! বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ-অফিস! পুজোর মুখে ফের ‘হলিডে’, কবে?
advertisement
২০২১-এর নির্বাচনের পর রাজ্যের বিজেপি কর্মীদের উপর যে ভাবে আঘাত নেমে এসেছিল তাতে দিলীপ ঘোষের উপর ভরসা রাখতে পারেনি দল। সে জায়গায় সুকান্ত মজুমদার দায়িত্ব নেওয়ার পর এবং শুভেন্দু অধিকারীর বিরোধী দলনেতা হিসেবে বিধানসভায় কাজ করা কালীন একে একে নির্বাচিত বিধায়ক ও বিজেপি নেতারা দল ছেড়ে শাসক দলে যোগদান করে। তাতে দলে একাংশের মধ্যে জমে অনুযোগ। রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের কাছে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়। কারণ ২০১৬ সালের পর থেকে রাজ্যে বিজেপির জোয়ার এসেছিল দিলীপ ঘোষের হাত ধরেই। ২০১৯ সালে ১৮টি লোকসভায় সিট পেয়েছিল বিজেপি। দুই থেকে আঠারোতে নিয়ে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। অতএব তাঁর অভিমান সঙ্গত বলেই মনে করছে বিজেপির একাংশ।
এই বিষয়ে বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,’পার্টি অফিসে নিজের ঘর বলে কিছু হয় না।নিজের বাড়িতে নিজের ঘরের সামনে নেমপ্লেট বসানো থাকে। অমিত শাহকেও ছ’বছর পরে সর্বভারতীয় সভাপতি পদ ছেড়ে দিতে হয়েছিল। দিলীপ ঘোষ দলের সম্পদ। তাঁকেও প্রয়োজন এরাজ্যে বিজেপিকে আনতে গেলে। তিনি এও জানান দলে সবার গুরুত্ব থাকাটা প্রয়োজন। তবে জয় বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এক সময় দলে গুরুত্ব না পেয়ে, বিজেপি ছেড়ে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার চিন্তা করেছিলেন।