স্বাস্থ্য দফতর ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নির্দেশ জারি করেছে। সেগুলি হল- এক, ভেক্টর কন্ট্রোল অর্থাৎ মশাবাহিত রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে শহর ও গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ১.৩২ লাখ স্বাস্থ্যকর্মীকে মোতায়েন করা হচ্ছে। দ্বিতীয়, শহরাঞ্চলে মার্চ মাস থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মশাবাহিত রোগ থেকে মানুষকে সচেতন করতে কর্মসূচি, যা চলবে বছরের শেষ পর্যন্ত। তৃতীয়, গ্রামাঞ্চলে প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৫ জনের একটি কমিটি তৈরি করার নির্দেশ, যারা বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগ নিয়ে সমস্ত ধরনের সচেতনতা এবং কর্মসূচি গ্রহণ করবে। চতুর্থ, ডেঙ্গি টেস্ট করতে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল এবং পুরসভার ক্লিনিকগুলিতে ব্যবস্থা। পঞ্চম, প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার খালকে সপ্তাহে দু’বার সংস্কার। ষষ্ঠ, বন্ধ কারখানা, সরকারি অফিস চত্বর, বাস ডিপো, ডাম্পিং গ্রাউন্ড,পরিত্যক্ত খালি জমিতে ডেঙ্গি প্রবণ এলাকাতে বিশেষ নজরদারির নির্দেশ। সপ্তম, ডেঙ্গি সচেতনতায় রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতর, সমাজকল্যাণ দফতর, পুলিশ এবং হাউসিং বিভাগকেকে বিভিন্ন সচেতনতার কর্মসূচি নেওয়ার নির্দেশ।
advertisement
আরও পড়ুন- ভারত যেন ‘ডায়াবেটিসের রাজধানী’! সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে অপরিহার্য এই তিন ভেষজের পাতা
এ ছাড়াও শহর ও গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন বাড়িতে বাড়িতে যারা সচেতনতামূলক কর্মসূচিকে পালনের জন্য যাবেন তাদের আলাদা পরিচয়পত্র ও জ্যাকেট দেওয়া হবে। ডেঙ্গি সপ্তাহ পালনের নির্দেশ ২৯ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত। ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৮৫০০ জন মেডিক্যাল অফিসার এবং প্যারামেডিক্যাল স্টাফদের ট্রেনিং দেওয়া হবে। আশাকর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের গ্রামাঞ্চলের সচেতনতায় ব্যবহার। গতবার এক ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল ডেঙ্গি। বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছিল এই ডেঙ্গির জেরে। তাই আগের থেকেই নির্দেশ জারি করল স্বাস্থ্য দফতর।
