Diabetes Control Tips: ভারত যেন ‘ডায়াবেটিসের রাজধানী’! সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে অপরিহার্য এই তিন ভেষজের পাতা
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Diabetes Control Leaves: ডায়াবেটিস আসলে লাইফস্টাইলজনিত রোগ। এক্ষেত্রে রক্তে চিনির মাত্রা অর্থাৎ শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু জীবনযাত্রার ধরনের উন্নতি করলে ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
advertisement
এনসিবিআই রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৫ শতাংশই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৪২.২ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এমনকী প্রতি বছর ডায়াবেটিসের কারণে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ভাবে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের মৃ্ত্যু হয়। এর মধ্যে যেটা সব থেকে উদ্বেগজনক, সেটা হল এই মুহূর্তে ভারতের অবস্থা সবথেকে শোচনীয়। কারণ বর্তমানে আমাদের দেশের প্রায় ৮ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এমনকী হিসেব বলছে, ২০৪৫ সাল নাগাদ ভারতে ১৩ কোটিরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবে। ফলে ভারতকেই ‘ডায়াবেটিসের রাজধানী’ বলা হচ্ছে।
advertisement
ডায়াবেটিস আসলে লাইফস্টাইলজনিত রোগ। এক্ষেত্রে রক্তে চিনির মাত্রা অর্থাৎ শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু জীবনযাত্রার ধরনের উন্নতি করলে ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এনসিবিআই-এর একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, কিছু ভেষজ পাতা কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। দেখে নেওয়া যাক, সেই ঘরোয়া টোটকাগুলির বিষয়ে।
advertisement
ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা পাতা: অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর গুণাগুণ সম্পর্কে কে না জানেন? শরীর সুস্থ রাখা থেকে শুরু করে ত্বক এবং চুলের জন্যও এটি অপরিহার্য। এমনকী এনসিবিআই-এর গবেষণায় এটি প্রমাণিত হয়েছে। সেই গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যালোভেরার হাইপোগ্লাইসেমিক গুণাগুণ রয়েছে। অর্থাৎ এটি রক্তে শর্করা হ্রাস করার ক্ষমতাসম্পন্ন। বলা হচ্ছে, সকালে খালি পেটে অ্যালোভেরা পাতা খেলে ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়বে। আর এর মাধ্যমে রক্তে শর্করাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
advertisement
আতা গাছের পাতা: আতা অত্যন্ত সুস্বাদু একটি ফল। কিন্তু এই গাছের পাতারও যে দারুন ঔষধি গুণ রয়েছে, সেটা সম্পর্কে অনেকেই হয়তো ওয়াকিবহাল নন। এনসিবিআই-এর গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী, আতা গাছের পাতায় অ্যান্টি-ডায়াবেটিক উপাদান রয়েছে। এমনকী আতা গাছের পাতায় ফটোকনস্টিট্যুয়েন্ট উপাদানও বর্তমান। ফলে এটি অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া হাইপোগ্লাইসেমিক ক্ষমতাসম্পন্ন এই পাতা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতেও সহায়ক।
advertisement
নিম পাতা: নিমের গুণাগুণ সম্পর্কে সকলেই তো ওয়াকিবহাল! এটি অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানে সমৃদ্ধ। কিন্তু এনসিবিআই-এর গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, নিম পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও দারুন কার্যকর। দেখা যাচ্ছে, সকালে কাঁচা নিম পাতা চিবিয়ে খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে না। এর পাশাপাশি অগ্ন্যাশয়ের সঠিক কার্যকারিতাও বজায় থাকে। যার কারণে স্বাভাবিক ভাবেই ইনসুলিন তৈরি হয়। এছাড়াও নিম পাতায় এমন অনেক উপাদান বর্তমান, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।