সূত্রের খবর, ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিসার আলমের সঙ্গে ফরিদাবাদ মডিউলের যোগ পাওয়া গেছে৷ মডিউলের সদস্যদের সঙ্গে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ ছিল বলে নিসারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন এনআইএ-র তদন্তকারীরা৷
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে নিসারের বাড়ি লুধিয়ানায়৷ কিন্তু, তাঁর পৈতৃক ভিটে উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলা থানার কোনাল গ্রামে। ধৃতের বাবা তৌহিদ আলম কর্মসূত্রে কয়েক দশক আগে লুধিয়ানায় গিয়ে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন। তবে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কোনালের আত্মীয়দের যোগাযোগ এখনও রয়েছে।
জানা গিয়েছে, দু’দিন আগে এক আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিতে মা ও বোনকে নিয়ে কোনালে আসেন নিসার। তার মাঝেই শুক্রবার সকালে তাঁকে আটক করা হয়।
কী ভাবে নিসারের হদিস পেল এনআইএ?
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, লালকেল্লা বিস্ফোরণের পরে প্রথমে গোয়েন্দাদের তরফে যোগাযোগ করা হয় লুধিানায় নিসারের বাবা তৌহিদ আলমের সঙ্গে৷ তিনিই জানান, তাঁর ছেলে বর্তমানে উত্তর দিনাজপুরে রয়েছে৷ সেই মতো বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সূর্যাপুরের দিকে অভিযান শুরু হয়।
পুলিশ সূত্র বলছে, মোবাইল ফোনের লোকেশনই পথ দেখায় তদন্তকারীদের। সিগন্যাল দেখায়, নিশার সূর্যাপুর বাজারের আশেপাশেই রয়েছেন। তারপর রাতভোর নজরদারি। ভোরে অভিযান। আটক করেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ইসলামপুরে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিলিগুড়ি-তে স্থানান্তরিত করা হয়।
নিসারের পরিবার পরিজন থেকে শুরু করে আত্মীয়েরা প্রত্যেকেই এই ঘটনায় অবাক, পরিবারের দাবি, তাঁদের ছেলে খুবই শান্ত, ভদ্র, নম্র৷ পড়াশোনা ছাড়া কোনও দিকে তাকাত না৷ কোনও সংগঠনের সাথে জড়িয়ে পড়া তো তাঁদের কাছে এককথায় অবিশ্বাস্য৷ ছেলে আটক হওয়ার পরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর মা-ও৷
