দেবযানীর মায়ের অভিযোগ, গত ২৩ অগাস্ট জেলে গিয়ে সিআইডি দেবযানীকে চাপ দিয়ে এই কথা বলতে বলে। সিআইডি-র কথা মতো দেবযানী এমন কথা না বললে তাঁকে আরও বেশ কয়েকটি মামলায় ফাঁসানো হবে বলেও দাবি করেছেন দেবযানীর মা। এ বিষয়ে সিবিআই-এর তরফ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি।
আরও পড়ুন: রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন মদন মিত্র? তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে তোলপাড় বাংলা
advertisement
প্রসঙ্গত, এর আগে সিবিআই-কে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি নিজে কোটি-কোটি টাকা দিয়েছেন। যা নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। যদিও এ বিষয়ে শুভেন্দু পুরো বিষয়টিকেই রাজনৈতিক প্ল্যান বলে অভিযোগ করেছেন। অপরদিকে, সুজন চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, ''শূন্য সিপিএমকে এত ভয়? তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে।'' এবার দেবযানীর মায়ের চিঠি সেই বিতর্ককে আরও উসকে দিল।
আরও পড়ুন: 'সিবিআই তদন্তে খুশি নই', কোন ঘটনায়? ফের বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপ ঘোষের
বাংলায় চলা সবকটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও, আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারেই রয়েছেন সারদার এক সময়ের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। কারণ, সারদা আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডে দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। বাড়ি ফিরতে হলে দেবযানীকে ওই সব মামলাতেও জামিন পেতে হবে।
২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে ধরা পড়েন সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়।সেই থেকে তাঁরা জেলে আছেন। সারদাকাণ্ডে সুদীপ্ত সেনের বিরুদ্ধে রাজ্যের বহু থানায় অভিযোগ হয়। বেশ কিছু মামলা থেকে সারদাকর্তা জামিন পেলেও, এখনও চলছে বেশ কিছু মামলা। সারদা গ্রুপ অফ কোম্পানিজের উচ্চ পদস্থ কর্মচারী ছিলেন দেবযানী। তিনি বর্তমানে আলিপুর সংশোধনাগারে রয়েছেন তিনি।
সারদা আর্থিক কেলেঙ্কারির জাল পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য়ে ছড়িয়েছিল। সিবিআই ২০১৩ থেকে এই মামলার তদন্ত করছে। এখনও পর্যন্ত ৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। লগ্নিতে বেশি অর্থ ফেরতের প্রলোভন দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে সারদা কোম্পানির বিরুদ্ধে।