প্রায় ৬০ জনের মতো এখানে প্রশিক্ষণ নেন। আখড়ার কথা অনুযায়ী বিনা পয়সায় চলে এই প্রশিক্ষণ। কোনও অর্থ কারও থেকে নেওয়া হয় না। আর এখানে প্রশিক্ষণ নিতে বর্ধমান থেকেও অবশ্য ছেলেরা আসেন। এহেন আখড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আখড়ার গুরুজি জোয়ালা তিওয়ারি জানিয়েছেন, কলকাতা বন্দরের তরফে তাদের কাছে একটা নোটিশ দেওয়া হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে মাসিক কিস্তির টাকা মেটাতে হবে। সেই টাকা না মেটাতে পারলে ১৫ দিনের মধ্যে উচ্ছেদ করে দেওয়া হবে আখড়া৷ কার্যত তাদের জবরদখলকারী হিসাবে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- এই প্রথম! দেশের শীর্ষ বিজ্ঞান সংস্থার প্রধান পদে মহিলা, জয় জয়কার নল্লাথাম্বির
আখড়ার গুরুজি বলেন, "আমাদের টাকা মেটানোয় কোনও অসুবিধা নেই৷ কিন্তু ৪৭০ টাকা মাসিক বিলের বদলে ৭৬ হাজার টাকা দেওয়া সম্ভব নয়।" গুরুজির ছেলে সুরজ নিজেও একজন জাতীয় স্তরের কুস্তিগীর। একাধিক পদক জিতেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, "বাবা পার্কিং লটে নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করেন৷ সেখান থেকে যা আয় হয় তা দিয়েই আখড়া চলে।" এছাড়া আখড়ায় মন্দির আছে। গো-পালন করা হয়ে সেখান থেকেও প্রাপ্ত অর্থের কারণে সমস্যা হয় না। যদিও বন্দর তাদের ডোমেস্টিকের বদলে, কমার্শিয়াল হিসাবে বিবেচিত করে বসে আছে। তাই টাকার অঙ্ক এক ধাক্কায় কয়েক হাজার গুণ বেড়ে গেছে।
আরও পড়ুন- দেশের আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য জাদুঘর বানানো উচিত: প্রধানমন্ত্রী মোদি
এই আখড়া গঙ্গা সেবা সমিতি ট্রাস্টের অন্তর্ভুক্ত। ফলে টাকা জমা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। আখড়ার আর এক জাতীয় স্তরের কুস্তিগির রোহিত সিং জানান, এই চত্বরে প্রচুর যুবক ছিল মাদকাসক্ত। তাঁদের এনে চর্চা করিয়ে, ব্যায়াম করিয়ে সমাজের মূল স্রোতে ফেরানো হয়৷ টাকার জন্য আখড়া বন্ধ হয়ে গেলে সেই কাজেও বাধা আসবে।কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে তাদের জায়গা ব্যবহার করে এই সব করা হয়েছে। তাই এস্টেট ম্যানেজার যথাযথ কারণেই নোটিশ পাঠিয়েছেন।